টি-টোয়েন্টিতে জয় আমাদেরই হবে
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার পর এবার টি-টোয়েন্টি মিশন। তবে লক্ষ্যটা একই, জয়। জয়ের লক্ষ্যেই খেলতে হবে। আগের সিরিজগুলোর চেয়ে এ সিরিজ অনেক বেশি কঠিন হবে। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা সবসময়ই অনেক শক্তিশালী দল। সাম্প্রতিক ইতিহাসও ওদের পক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ওদের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিয়েছে। তাই এ সংস্করণে জিততে হলে সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে মাশরাফিদের।
শেষ ওয়ানডেতে খুব বাজেভাবে হেরেছে আমাদের দল। ওই ম্যাচের ছায়া থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মানসিকভাবে শক্ত থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে হবে। আর টি-টোয়েন্টি এমনিতেই আক্রমণাত্মক খেলা, তাই এর সঙ্গে আপস করার কোনো সুযোগ নেই। আর শ্রীলঙ্কার এ দলটি খুব তরুণ হলেও তাদের বেশ কিছু ভালো ক্রিকেটার আছে। যারা একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই মাঠে ষোলোআনা দিয়েই জয় ছিনিয়ে আনতে হবে টাইগারদের।
শ্রীলঙ্কা যেমনই হোক আমাদের দলটি ওদের চেয়ে শক্তিশালী। যদিও টি-টোয়েন্টিতে এখনও আমরা নিজেদের প্রমাণ করতে পারিনি। আসলে এ সংস্করণ আমাদের খুব কম খেলা হয় বলেই সেরাটা দিতে পারছি না। আমাদের দলটি ওদের চেয়ে অনেক অভিজ্ঞ। টি-টোয়েন্টি ধুম-ধাড়াক্কা মারের ভেবে অনেকে এটাকে তরুণদের খেলা মনে করলেও অভিজ্ঞতার দরকার আছে।
ছোট একটা উদাহরণ দেই। আমাদের দলে একমাত্র টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট বলা হয় সাব্বির রহমানকে। তবে যদি বলা হয় এ সংস্করণে আমাদের সেরা খেলোয়াড় কে? তখন আসবে দুটি নাম-সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বের প্রায় সবগুলো ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার অভিজ্ঞতার কারণেই আসে সাকিবের নাম। আর মাহমুদউল্লাহ গত কয়েক বছরে নিজেকে প্রমাণ করেছেন- এ সংস্করণটা তিনি ভালোই খেলেন। সুতরাং, এ দুইজনই অভিজ্ঞ।
পাশাপাশি তামিম ও মুশফিকও আমাদের দলের ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেন। ওয়ানডে সিরিজে মুশফিক নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। আশাকরি টি-টোয়েন্টিতে ওর মতই খেলবে। ও আমাদের ব্যাটিং স্তম্ভ। মুশফিক-তামিম নিজেদের মত খেলতে পারলে যে কোন দলের বিপক্ষেই জয় পাওয়া সহজ হয়ে যায়। সৌম্য সরকার আর মোসাদ্দেক সৈকতও তুরুপের তাস হতে পারেন।
বল হাতে আমরা চেয়ে থাকবো মোস্তাফিজের দিকেই। যদিও ওয়ানডে সিরিজটা ঠিক ওর নামের মত হয়নি। তবে আশা করি টি-টোয়েন্টিতে নিজের ছন্দ ঠিকই ফিরে পাবে মোস্তাফিজ। আমার বিশ্বাস এ সংস্করণ ওরই খেলা। তাই মোস্তাফিজের জ্বলে ওঠা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। ওর একটা ভালো বোলিং স্পেল পুরো ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।
আমার মনে হয় কাল মেহেদী হাসান মিরাজের অভিষেক হচ্ছে। টেস্ট ও ওয়ানডে দুটোতেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন মিরাজ। আমার বিশ্বাস টি-টোয়েন্টিতেও ও ভালো করবে। লঙ্কান দলে এমনিতেই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বেশি। একজন বিশেষজ্ঞ অফস্পিনার দরকার হবেই। পাশাপাশি ব্যাটিং শক্তিটাও বাড়বে। ওয়ানডে সিরিজে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাস ওর আছে।
সবমিলিয়ে আমার বিশ্বাস জয় আমাদেরই হবে। ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে জয় না পাওয়ার কিছু দেখছি না। সে সামর্থ্য আমাদের টাইগারদের আছে। তবে শ্রীলঙ্কা কঠিন প্রতিরোধ গড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আরটি/আইএইচএস/এমএস