গরমে যে হালকা খাবারগুলো খাবেন


প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ২২ এপ্রিল ২০১৫

শরীর ঠিক রাখার জন্য তিনবেলা ভারী খাবারের পাশাপাশি প্রয়ােজন পড়ে হালকা খাবার খাওয়ার। গরমে তৈলাক্ত কোনো খাবার খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয় এবং খেতে ভালোও লাগে না। আর গরমে সফট ড্রিংকস বেশি খাওয়া হয় বলে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। এসব কারণে অনেকে গরমের সময় স্ন্যাকস ও পানীয় নিয়ে বেশ বিপদে পড়েন। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক এই গরমের সময় কী কী স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস ও পানীয় খাবার তালিকায় রাখা যেতে পারে-

১. দুপুরের খাবারের ঠিক আগে একটু আধটু ক্ষুধা সবারই লেগে থাকে। তখন অনেক অস্বাস্থ্যকর খাবার খান অনেকেই। এর পরিবর্তে এই গরমে আপনি খেতে পারেন তাজা ফলের রস। দুপুরের গরমে আরামও পাবেন, ক্ষুধাও কমে আসবে এবং দেহের পানিশূন্যতাও পূরণ হবে।

২. এই গরমে সব চাইতে কার্যকরী এবং রিফ্রেশিং পানীয় হচ্ছে লেবুর তৈরি পানীয়। পানিতে তাজা লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন এই গরমের সব চাইতে স্বাস্থ্যকর পানীয়। দেহের পানিশূন্যতা পূরণ এবং এনার্জি ফিরিয়ে আনতে লেবু পানির জুড়ি নেই। বিশেষ করে দুপুরের গরমে পান করতে পারেন লেবুর পানীয়।

৩. এই গরমে দই বেশ ভালো একটি স্ন্যাকস হতে পারে যে কোনো বয়সী মানুষের জন্য। দই শরীর ঠাণ্ডা রাখে। হজমশক্তি উন্নত করে। তাই আজেবাজে স্ন্যাকস না খুঁজে ঘরে দই রাখুন। চাইলে দইয়ের সাথে ফলের কুচি বা চিড়া দিয়েও দিয়েও খেতে পারেন স্বাস্থ্যকর দই।

৪. এক বাটি বিভিন্ন ধরণের ফলের সালাদের চাইতে ভালো এবং স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস আর হতেই পারে না। ফল বরাবরই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ভালো। এই গরমে পানি জাতীয় ফল খেলে আমরা ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পেতে পারি। তাই স্ন্যাকস খাওয়ার সময় ফলের সালাদের কথা মাথায় রাখুন।

৫. পপকর্ণ একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস। মাখন ছাড়া বা অল্প তেলে ভাজা পপকর্ণ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। বিকেলের নাস্তায় বেশি তেলে ভাজা স্ন্যাকসের পরিবর্তে খেতে পারেন পপকর্ণ। এতে গরমের দিনে তৈলাক্ত খাবার থেকে মুক্তি পাবেন এবং মুচমুচে স্ন্যাকসও খেতে পাবেন।

এইচএন/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।