নারীর চুল টেনে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
এক নারী চুল টেনে ধরার অপরাধে ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি। জানা গেছে, রেগে গিয়ে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি সেখানকার ক্যাফের একজন খাদ্য পরিবেশিকার চুল বারবার টেনে ধরেন। খবর বিবিসির।
খবরে আরও বলা হয়, নারীর চুল টেনে ধরার পরে প্রধানমন্ত্রী ঐ নারীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এই ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন জন কি।
বিশেষ করে সেখানকার বিরোধী রাজনৈতিক দল রীতিমত কোণঠাসা করছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক দলকে। নাম প্রকাশ না করে ঐ নারী একটি ব্লগে লিখেছেন, নিষেধ করার পরেও প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকবার তার পিছনের চুলের ঝুটি ধরে টান দেন।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আজ বুধবার বলা হয়েছে, মি. কির ঐ আচরণ কোন উদ্দেশ্যমূলক ছিল না। তবে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
অকল্যান্ডের ঐ ক্যাফের খাদ্য পরিবেশিকা দ্য ডেইলি ব্লগে লিখেছেন গত নভেম্বরের নির্বাচনের সময় যখন মি. কি তার দল ন্যাশনাল পার্টির সদস্যদের নিয়ে সেখানে খেতে আসতেন তখন বেশ কয়েকবার খাবার পরিবেশনের সময় তিনি ঐ নারীর চুলে টান দেন।
তিনি আরো বলেছেন এক পর্যায়ে মি. কি ঐ ক্যাফেতে আসলেই তিনি তার টেবিলে খাবার পরিবেশন করতে যেতে চাইতেন না। এ বিষয়ে তিনি নিরাপত্তা কর্মীকেও অবহিত করেছিলেন। অবশেষে গত মার্চে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন তার চুল ধরে না টানতে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ঐ খাদ্য পরিবেশিকাকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলার কোন উদ্দেশ্যই প্রধানমন্ত্রীর ছিল না।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন ক্যাফের ঐ খাদ্য পরিবেশিকার সাথে তার বেশ উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আর মজার ছলেই তার চুলে হালকা টান দেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের গ্রিন পার্টি অবশ্য বলছেন প্রধানমন্ত্রীর এই আচরণ কর্মক্ষেত্রে উৎপীড়নের বিষয়টিকেই সামনে নিয়ে এসেছে।
এলএ/আরআইপি