জয়ের নায়ক তামিমের প্রশংসায় মাশরাফি


প্রকাশিত: ০৩:০৮ এএম, ২৬ মার্চ ২০১৭

শুরুতেই সৌম্য সরকারের বিদায়। দলীয় ২৯ রানের মাথায় সুরাঙ্গা লাকমালের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে ধরা পড়েন সৌম্য। এই বিপদ বাংলাদেশ সামলে ওঠে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। এ যাত্রায় সাব্বির রহমান রুম্মনকে নিয়ে ৯০ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল। যেখানে সাব্বিরের অবদান ৫৪ রান; আর তামিমের ২৮!

অনেকটা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন তামিম। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকের সঙ্গ তেমন পেলেন না। কারণ ১ রানের মাথায় ফিরে যান মুশফিক। তবে চতুর্থ ইনিংসে বন্ধু সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েন ১৪৪ রানের জুটি। যা ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর মধ্যে সাকিবের অবদান ৭২; আর তামিমের ৬৬।

সাকিবের বিদায়ের পর আসলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেকের সঙ্গে ২৫ রানের জুটি গড়লেন তামিম। এখানে তামিম ছিলেন মারমুখী; ১৯ রান অবদান তার। আর মোসাদ্দেকের ৬। তামিম শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে থেমেছেন। তার ১৪২ বলের ইনিংসটি সমৃদ্ধ ১৫টি চার ও একটি ছক্কায়। স্ট্রাইক রেট ৮৯.৪৩!

তামিমের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৯০ রানে। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটাও জিতেছেন ড্যাশিং এই ওপেনার। তাই জয়ের নায়ক তামিমকে প্রশংসার বানে ভাসলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টাইগার দলপতি বলেন, ‘যদি আপনি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন- তামিম অনেক অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। খেলছে গত দশ বছর ধরে। মুশফিকও তা-ই। আমি মনে করি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের ক্ষেত্রে তামিমের ইনিংসটি ছিল কার্যকর।’

Vision

এ ছাড়া সাকিব, মোসাদ্দেক ও মাহমুদউল্লাহর প্রশংসা করেন মাশরাফি, ‘সাকিব ভালো খেলেছে। মোসাদ্দেক ও মাহমুদউল্লাহ ফিনিংয়ের কাজটা ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। অবশ্যই, এই জয়টা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে তিন ম্যাচ সিরিজে প্রথম ম্যাচে জয় পেলে দলের জন্য ভালো হয়। সব মিলে এটা পারফেক্ট ম্যাচ ছিল।’

এনইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।