অনুপ্রেরণার সেই চার জয়


প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ২৪ মার্চ ২০১৭

এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৩৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জয় মাত্র ৪টি। হেরেছে ৩৩টি ম্যাচ আর অপর ম্যাচটি পরিত্যক্ত। জয় পাওয়া চার ম্যাচের তিনটি বাংলাদেশের মাটিতে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে একমাত্র জয়টি আসে ২০১৩ সালে। আগামীকাল ডাম্বুলায় হয়তো নতুন ইতিহাস রচিত হতে পারে। তবে এর আগে ঘুরে আসছে আগের সেই চারটি জয়। টাইগারদের অনুপ্রেরণা হতে পারে সেই ম্যাচগুলো। তাই জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো সেই চারটি জয়।

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬, বগুড়া
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের আক্ষেপ মিটেছিল ২০০৬ সালে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় পরাজয় হলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান টাইগাররা। দলীয় প্রচেষ্টায় দারুণ এক জয় ছিনিয়ে নেয় হাবিবুল বাশার বাহিনী। জয়সুরিয়ার ৯৬ রানের ইনিংস সত্ত্বেও লঙ্কানদের ২১২ রানে বেঁধে আত্মবিশ্বাসটা এনে দিয়েছিলেন বোলাররা। ব্যাটিংয়ে জয়ের ভিতটা গড়ে দেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৫১ রানের ইনিংসে জাভেদ ওমরকে নিয়ে ৪৬ ও বাশারের সঙ্গে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। তবে ম্যাচের শেষ নায়ক আফতাব আহমেদ। ২১ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এ ড্যাশিং ব্যাটসম্যান।

১৪ জানুয়ারি, ২০০৯, মিরপুর
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে ঘরের মাঠে দর্শক হওয়ায় শঙ্কায় টাইগাররা। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় দিয়েই ফাইনালের টিকিট কাটে আশরাফুল বাহিনী। যথারীতি ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে দেয় বোলাররা। মাশরাফি ও রুবেলের দাপটে লঙ্কানদের ১৪৭ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুধু জয় নয়, রান রেটেও এগিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন টাইগাররা। ৬৯ বলে ৯৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন সাকিব।

Vision

২০ মার্চ, ২০১২, মিরপুর
ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলেও পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত কামব্যাক। তবে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন পূরণ করতে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে টাইগারদের। সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে পাঁচ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। এবারও শুরুর কাজটা করেন বোলাররা। লঙ্কানদের আটকে রাখেন মাত্র ২৩২ রানে। এরপর বৃষ্টি আশায় বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২১২। সাকিব-তামিমের হাফ সেঞ্চুরির পর মাহমুদউল্লাহ-নাসিরের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ১৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ।

২৮ মার্চ, ২০১৩, পাল্লেকেলে
আগের তিনটি জয় ঘরের মাঠে পায় বাংলাদেশ। দেশের বাইরে লঙ্কা জয় অধরাই থেকে যাচ্ছিল। সে আক্ষেপটা ২০১৩ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গিয়ে মেটান টাইগাররা। ১-০ তে পিছিয়ে থেকে শেষ ম্যাচে দারুণ এক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। আব্দুর রাজ্জাকের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পরও ৩০৩ রানের বিশাল লক্ষ্যই পেয়েছিল মুশফিক বাহিনী। তবে বৃষ্টির কারণে ২৭ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৩। তবে নাসির হোসেনের দৃঢ়তায় এক ওভার ও তিন উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় বাংলাদেশ।

আরটি/এনইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।