বাংলাদেশের কাছে হারই শচীনের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে দিন


প্রকাশিত: ০৮:৫০ এএম, ২৪ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশের কাছে কলম্বো টেস্টে পরাজয়ের শ্রীলঙ্কার মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছিল সে দেশের প্রথম সারির সংবাদ-মাধ্যম। এবার বাংলাদেশের কাছে পরাজয়কে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত বলে উল্লেখ করলেন শচীন টেন্ডুলকার। ভারতীয় পত্রিকা মিড ডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শচীন জানিয়েছেন, ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হারের পর অবসর নেয়ার কথাও চিন্তা করেছিলেন তিনি।

আজ থেকে ১০ বছর আগে বাংলাদেশের একদল তরুণের হাতে ৫ উইকেটে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল পরাশক্তি ভারতকে। তখনকার সময়ে তামিম-সাকিব-মুশফিকদের উত্থান ঘটছিল মাত্র বিশ্ব ক্রিকেটে। আর শচীন-দ্রাবিড়-সৌরভ গাঙ্গুলিরা বিশ্ব কাঁপানো ক্রিকেটার; কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে হাবিবুল বাশার বাহিনীর হাতে প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছে ভারতকে। পরের ম্যাচে দুর্বল বারমুডার বিপক্ষে বড় জয় পেলেও শ্রীলঙ্কার কাছে ৬৯ রানের পরাজয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় ঘটে ভারতের।

২০০৭ বিশ্বাকাপে সেই হারের পরের বিশ্বকাপেই শিরোপা জিতে নেন শচীন টেন্ডুলকাররা। ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই তিনি পেয়েছেন। অনেক রেকর্ড গড়েছেন; কিন্তু বাংলাদেশের কাছে সেই পরাজয়ের ক্ষত কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না শচীন। মিড ডেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সে কথা নিজেই জানালেন শচীন।

১০ বছর পর সেই স্মৃতি মনে করে মিড ডেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শচীন বলেন, ‘হারের পরও (বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর) আমরা দুদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছিলাম। এই দুদিন হোটেল রুম থেকে বের হইনি। কোনো কিছুই করার আগ্রহ ছিল না। এটা এমনই হতাশার ঘটনা ওই দুই দিন কিছুতেই মন বসাতে পারিনি। এটা ভুলে পরের কোনো টুর্নামেন্টে মনোযোগ দেওয়া ভীষণ কঠিনই ছিল।’

বাংলাদেশের কাছে হারের সেই অনুভুতি কেমন ছিল? জানতে চাইলে শচীন বলেন, ‘২০০৭ বিশ্বকাপ আমাদের খুব বাজে গেছে। বাংলাদেশের কাছে প্রথম ধাক্কা, পরে হারলাম শ্রীলঙ্কার কাছে। কখনো ভাবতেও পারিনি বাংলাদেশের কাছে হারব। আমরা অতি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। তবে এটা তো প্রত্যাশা করতেই পারেন ভারত বাংলাদেশকে হারাবে। ক্রিকেট যে অনিশ্চয়তার কথা বলা হয়, এটা ছিল তারই একটি।’

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর শচীন অবসর নেয়ার চিন্তাই করছিলেন। এ সময় ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসের এক ফোনে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টান। প্রায় ৪৫ মিনিটের সেই আলাপনে ভিভ রিচার্ডস টেন্ডুলকারকে অনেক কিছুই বুঝিয়েছিলেন। শচীন বলেন, ‘তিনি আমাকে ক্রিকেটের উত্থান-পতন নিয়ে বললেন। উৎসাহ দিলেন, ক্রিকেটে এখনো আমার অনেক কিছু দেওয়ার আছে। বললেন, তুমি অবসরের কথা ভেব না। তিনি আমাদের এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলেন আমি ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছি এবং অবসর নেওয়ার কথা ভাবছি। আপনার ব্যাটিং নায়ক এভাবে বলবে সেটা অনেক কাজে দেবে। সুনীল গাভাস্কার আর তাঁকে সব সময়ই অনুসরণ করেছি। স্যার ভিভ আমাকে ঠিক সময়েই ফোন করেছিলেন। আমার নতুন উপলব্ধি হলো। নিজেকে বোঝালাম, এসব ভাবনা দূরে সরিয়ে রাখব।’

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।