গল টেস্টই ছিল জেগে ওঠার বার্তা টাইগারদের


প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৭

পরিসংখ্যানের পাতায় লেখা থাকবে গল টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ২৫৯ রানে। নিঃসন্দেহে অনেক বড় ব্যবধানে হার। ওই রকম এক বড় হার কি কখনো জেগে ওঠার বার্তা হতে পারে? ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ যে কেউ এমন কথা শুনলে নির্ঘাত হেসেই উড়িয়ে দেবেন। বলবেন, তা কি করে সম্ভব? এমন বাজে পারফরমেন্স আর অত বড় হার আবার জেগে ওঠার বার্তা হতে পারে নাকি? ওটা বরং হতোদ্যম হয়ে পড়ার বড় উপাদান হতে পারে।

তাতে করে মনোবল হারিয়ে বসতে পাওে; কিন্তু শুনে অবাক হবেন, গল টেস্টের করুণ পরিণতিই বাংলাদেশের কলম্বোয় জেগে উঠতে রেখেছে আসল ভূমিকা। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম, সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে- তিনজন একযোগে এমন কথাই শোনালেন।

তাদের প্রত্যেকের মুখে উচ্চারিত হলো, গল টেস্টের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বসে নিজেদের উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। গলে করা ভুল-ত্রুটি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা- ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের পাশাপাশি কলম্বোয় ভাল করার দৃঢ় সংকল্প এবং আস্থা ও আত্ববিশ্বাসী কথাবার্তাই হয়েছে ওই টিম মিটিংয়ে।

Babu যার সারমর্ম ছিল, ‘আমরা গলে যত খারাপ খেলেছি, ফল যত একতরফা হয়েছে, আসলে আমরা তত খারাপ দল নয়। এরচেয়ে অনেক ভাল খেলার সামর্থ্য আছে আমাদের। কলম্বোয় সেই সামর্থ্যরে প্রমাণ দিতে হবে।’

সেই মন্ত্রে দিক্ষিত হয়েই কলম্বোয় জেগে ওঠা। আজ খেলা শেষে সেকথাই বারবার উচ্চারিত হলো। তাই তো অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের মুখে একথা, ‘প্রথম টেস্টে হারার পর আমাদের মনে হয়েছে, আমরা এতো বাজেভাবে হারার দল নয়। গল টেস্ট তাই আমাদের জন্য ওয়েকআপ কল ছিলো। আমরা হতাশ ছিলাম। আমাদের যে সক্ষমতা আছে, প্রথম টেস্টে আমরা আমাদেও সক্ষমতার অর্ধেকও দিতে পারিনি। আমরা ওদের চাইতে বেটার টিম। খেলা শেষে আমরা নিজেরা এই কথাগুলো সবাই সবাইকে বলেছি। বুঝিয়েছি।’

মুশফিক আরও বলেন, ‘একসঙ্গে, মৌলিক ব্যাপারগুলো একজন আরেকজনকে রিমাইন্ড করে দিয়েছিলাম। আমরা যাতে পরিকল্পনা মত মাঠে পারফরম করতে পারি, এটা নিশ্চিত করার চেষ্টা ছিল নিজেদের আলাপ অলোচনায়। ম্যাচে আমরা এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকি; সব সময়ই আমরা ম্যাচের ‘ভ্যালুটা’ বোঝার চেষ্টা করেছি। একটা রান, একটা মিসফিল্ডিং এ সবেরও যে তাৎপর্য আছে। তা বোঝার চেষ্টা করেছি।’

প্রথম ইনিংসের প্রসঙ্গ টেনে মুশফিক বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে অনেক রান দিয়ে ফেললেও অনেক সময় সেটার কথা মনে প্রভাব ফেলে না; কিন্তু দিন শেষে সেটা যে আমাদেরও করতে হবে, সেটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। এ রকম ছোট ছোট ব্যাপার আমরা উপলব্ধি করার চেষ্টা করছি। কলম্বোর পি সারায় এগুলো সব আমরা খেয়াল করতে পেরেছি, এটা ভালো লেগেছে। ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে, বোলাররা দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করেছে। এটা তাই সব মিলিয়ে হ্যাপি মোমেন্ট।’

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।