শততম টেস্টে জয় আমাদেরই হবে ইনশাল্লাহ


প্রকাশিত: ০২:৩৩ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৭

শততম টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে যা যা প্রয়োজন ঠিক তাই করছেন আমাদের ক্রিকেটাররা। কাল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিল, আজ বল হাতেও নিখুঁত ছিল মোস্তাফিজ-সাকিবরা। তবে মাঝে ওদের একটা জুটি ভয় পাইয়ে দিয়েছিল আমাদের। যদিও দিন শেষে ম্যাচের চালকের আসনে এখন আমরাই। আশা করি শততম টেস্টে আমাদেরই জয় হবে। এর আগে শততম ওয়ানডেতে জিতেছিলাম। এবার টেস্টেও তেমন হবে ইনশাল্লাহ। তবে আমাদের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে আছে ওদের শেষ দুটি উইকেট। সকালের শুরুতেই সে কাঁটা উপড়ে ফেলতে হবে।

দারুণ এক দিনের শেষটা পরিপূর্ণ হয়নি। ৬ উইকেট পরার পর ভেবেছিলাম আজকেই হয়তো আবার ব্যাটিং করতে নামবো। কমপক্ষে ওদের অলআউট ভেবেছিলাম। ওদের শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধে তা আর হলো কই। এর জন্য কৃতিত্ব পেতেই পারেন পেরেরা। একপ্রান্তে মাটি কামড়ে পরেছিলেন। ১২৬টি বল সামলেছেন। তাকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছেন লাকমলও। আগামীকাল সকালেই ওদের ফেরাতে হবে। লিড দেড়শত পার হলে কঠিন হয়ে যাবে জয় পাওয়া।

মোটের উপর দিনটি আমাদের বেশ ভালো গিয়েছে। ৮টি উইকেট তুলে নিয়েছি। শেষ বেলা একটা উইকেট পেলে ভালো হতো। তাহলে কাল সকালেই হয়তো শেষটাও তুলে নিতে পারতাম। তবে কাল অবশ্যই আক্রমণাত্মক থাকতে হবে। ফিল্ডিং ভালো হয়েছে আজকে। তবে আরও প্রাণবন্ত হতে হবে। যে করেই হোক লিড বড় করতে দেওয়া যাবে না। তা না হলে কিন্তু আমাদের জয় না ড্রয়ের জন্য খেলতে হবে। কারণ শেষ দিনে এমন উইকেটে রান করা অনেক কঠিন। তার উপর শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা কিন্তু খুবও ভালো।

Vision

উইকেট আজকে দেখলাম বেশ কিছু বল ভালো টার্ন পাচ্ছে। যদিও তেমন বেশি ভাঙ্গেনি। এখনও ব্যাটসম্যানদের উপযোগী আছে। কাল হয়তো আরও ভাঙবে। সেক্ষেত্রে বড় লিড করে ফেললে আমাদের জয়টা দুরূহ হয়ে যাবে। সাকিব আজকে খুবই ভালো বল করেছে। টানা বোলিং করতে অনেক দিন পর দেখলাম। আর শারীরিক ভাষাও ছিল দারুণ। প্রতি মুহূর্তেই মনে হয়েছে উইকেটের জন্য ক্ষুধার্ত।

আর মোস্তাফিজের কথা নতুন করে কিছু বলার নেই। অভিষেকের পর থেকেই সে আমাদের মূল বোলার। আজ আরও একবার সে নিজেকে প্রমাণ করেছে। ওর ওই একটা স্পেলেই কিন্তু আমরা ম্যাচে ফিরেছি। পাঁচ ওভারে ওই স্পেলে তিনটা উইকেট নিয়ে আমাদের জয়ের স্বপ্নটা জোরালো করেছে। এর মধ্যে মেন্ডিস ও চান্দিমালের উইকেট ছিল। যারা কিনা এ সিরিজের সেঞ্চুরি পেয়েছে। শেষ বিকেলেও উইকেট পেয়েছিল। তবে রিভিউ ভাগ্যটা ভালো ছিলো না।

দিনের শেষটা হলো আলিম দারের নাটক দিয়ে। মোসাদ্দেক আবেদন করার পর তিনি মাথা ঝাঁকালেন, আঙ্গুল তুলতে গিয়ে তার মনে হলো আউট হয়নি। যা দেখলাম লাকমল আউট ভেবে প্যাভিলিয়নের পথে হাটাও শুরু করেছিল। আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। ক্যারিয়ারের এতো বছর পর এ সিদ্ধান্ত দিতে গিয়ে এতো দ্বিধাদ্বন্দ্ব। পরে রিভিউতে পরিস্কার বুঝা না যাওয়ায় বেনিফিট অব ডাউট দেওয়া হলো ব্যাটসম্যানকে। এ টেস্টের রিভিউ সিস্টেম নিয়েও আমি বিরক্ত। হটস্পট না থাকলেও কমপক্ষে স্নিকোমিটার থাকা উচিত ছিল। এটা ছাড়া এই রিভিউ নেওয়া আর না নেওয়া সমান কথা। টিভি রিপ্লেতে আর কতোটুকু বুঝা যায়।

সকালে ওদের যত দ্রুত আউটতো করতেই হবে। তবে ব্যাটিংটাও মনোযোগের সঙ্গে করতে হবে। কারণ শেষ দিনে ব্যাটিং করা খুব কঠিন বিশেষ করে এ ধরণের উইকেটে। তার উপর আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসের রেকর্ড ভালো না। গলেও আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ব্যাটসম্যানদের অবশ্যই ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করতে হবে। যেমনটা করেছিল গতকাল। আর এটা টপ অর্ডারকে করতে হবে। মিডেল অর্ডারে যাওয়া মানে ম্যাচ কঠিন করে ফেলা। তবে আমি আশাবাদী। ওদের সে সামর্থ্য খুব ভালো ভাবেই আছে।

আরটি/আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।