শততম টেস্টে দ্রুততম বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০৫:২৬ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৭

২০০০ সালের ১০ নভেম্বর। ইতিহাসে দশম সদস্য দেশ হিসেবে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামলো বাংলাদেশ। এরপর হাঁটি-হাঁটি পা পা করে ১৬ বছর চার মাস পার করে ফেললো টাইগাররা। ১৫ মার্চ, ২০১৭ সাল। অভিষেকের পর থেকে ১৬ বছর চার মাস ৬দিনের মাথায় নিজেদের ইতিহাসে শততম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শততম টেস্ট খেলতে নামছে মুশফিকুর রহীম অ্যান্ড কোং।

১৮৭৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা শুরু। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এরপর থেকে কেটে গেলো ১৪০ বছর। টেস্ট আঙ্গিনায় যোগ হয়েছে মোট ১০টি দেশ। এর মধ্যে সর্বকনিষ্ট বাংলাদেশ। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর একই বছর ১০ নভেম্বর থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশছাড়া বাকি ৯টি দেশ শততম টেস্ট খেলতে যতটা সময় নিয়েছিল, বাংলাদেশ নিচ্ছে তার চেয়ে অনেক কম সময়। বাংলাদেশের আগে শততম টেস্ট খেলতে সবচেয়ে কম সময় নিয়েছিল শ্রীলংকা। তাদের সময় লেগেছিল ১৮ বছর ৩ মাস ২৯ দিন। অথ্যাৎ বাংলাদেশের চেয়ে অন্তত ২ বছর বেশি।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে শততম টেস্ট খেলতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অভিষেকের পর থেকে ১০০ টেস্ট খেলতে প্রোটিয়াদের সময় লেগেছিল ৫৯ বছর ১১ মাস ২২দিন। দক্ষিণ আফ্রিকার পর সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে নিউজিল্যান্ডের, ৪২ বছর ২ মাস ১৪দিন।

টেস্ট আঙ্গিনায় বাংলাদেশের ইমিডিয়েট বড় ভাই জিম্বাবুয়ের শততম টেস্ট খেলতে সময় লেগেছে ২৪ বছর ১২দিন। প্রথম টেস্ট খেলা দুই দল অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের শততম টেস্ট খেলতে সময় লেগেছে যথাক্রমে ৩৫ বছর ২ মাস ১৩দিন এবং ৩৫ বছর ৩ মাস ১৭দিন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সময় লেগেছে ৩৬ বছর ৮ মাস ৫৯ দিন। শততম টেস্ট খেলতে ভারতের সময় লেগেছিল ৩৫ বছর ১৯দিন। পাকিস্তানের লেগেছিল ২৬ বছর ৪ মাস ২৩দিন।

গত বছর পুরোটা সময়ে বাংলাদেশ টেস্ট খেলতে পেরেছিল মাত্র ২টি। নিয়মিত টেস্ট খেলার সুযোগ পেলে শততম টেস্টের জন্য বাংলাদেশের সময়টা হয়তো ১৫ বছরের কমে নেমে আসতো।

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।