পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান স্যামুয়েলস

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০১ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৭

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৫ মার্চ যে পিএসএলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হলো, তার কড়া নিরাপত্তাবিধানের দায়িত্বে ছিলো খোদ পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তাদের নিরাপত্তার চোখ এড়ানোর সাধ্য ছিল না একটি পিঁপড়ারও। পাক সেনাদের এমন নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখে যারপরনাই মুগ্ধ ক্যারিবীয় ক্রিকেটার মারলন স্যামুয়েলস। সম্প্রতি টুইটারে প্রকাশ করা তার একটি ভিডিওতেই সেটা স্পষ্ট। পাক সেনাদের ঢালাও প্রশংসা করেছেন তিনি।

পিএসএলের ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৫৮ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছিল স্যামুয়েলসের দল পেশোয়ার জালমি।  স্যামুয়েলস তার ভিডিওতে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের মাটিতে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে খেলা হয়েছে, তাতে তিনি অভিভূত। সেই কারণে পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।

সেখানেই থেমে থাকেননি স্যামুয়েলস। তিনি বলেন, ‘আমি মন থেকে পাকিস্তানকে ভালবাসি। আমার পাকিস্তানে আসতে কোনও আপত্তি নেই। যদি ওই আর্মি ব্যাজ আমাকে দেওয়া হয়। আমি সেটার জন্যই অপেক্ষা করছি। আমি পাকিস্তান আর্মির হয়ে কাজ করতে চাই।’

পাকিস্তানের মাটিতে অন্য দেশ যাতে খেলতে আসে, তার প্রচারনাও চালান ওই ভিডিওতে। স্যামুয়েলস বলেন, ‘ফের পাকিস্তানে ক্রিকেট পরিবেশ ফিরে আসুক। তাদের দেশে ক্রিকেট উন্নতির জন্য আমি সব সময় পাশে রয়েছি। আমৃত্যু এই বার্তা প্রচার করে যাব।’

২০০৯ সালে এই গদ্দাফি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা দলের উপর জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় মাহেলা জয়বর্ধনে সহ ৬জন ক্রিকেটার আহত হয়েছিলেন। পাকিস্তানে ক্রমাগত জঙ্গি হামলার ঘটনায় কোনো দেশই আর সেখানে গিয়ে খেলতে রাজি নয়। ২০০৭-এর পর ভারতও আর খেলতে যায়নি পাকিস্তানে।

সম্প্রতি পিসিবির পক্ষ থেকে নাজম শেঠি জানিয়েছেন, চলতি বছরে বাংলাদেশ কিংবা শ্রীলঙ্কা খেলতে আসতে পারে তাদের দেশে। এ নিয়ে জোর চেষ্টা চলছে বলে জানালেন তিনি। শেঠি আরও জানান, পিএসএল ফাইনাল সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করায় এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান বোর্ড। সঙ্গে, মারলন স্যামুয়েলসের এই সমর্থন পিসিবির আত্মবিশ্বাস এবং মনোবল আরও বাড়িয়ে দেবে, সন্দেহ নেই।

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।