‘দলের ওই সময়ে এমন শট খেলা উচিত হয়নি’


প্রকাশিত: ০৭:৩১ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৭

গলে প্রথম টেস্টে ড্র করার সহজ সুযোগ পেয়েও হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শেষ দিন পর্যন্ত প্রাণবন্ত উইকেট পেয়েও তার সঠিক ব্যবহার করতে পারেনি টাইগাররা। রীতিমত আত্মহত্যার মিছিলে নামে ব্যাটসম্যানরা। এ তালিকায় ছিলেন ২০ মাস পরে দলে সুযোগ পাওয়া লিটন দাসও। নিজেই স্বীকার করলেন দলের ওই রকম পরিস্থিতিতে এমন উচ্চবিলাসী শট খেলা উচিত হয়নি তার।

ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রথম টেস্টে ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত। ক্রিকেটার নিজেই খুঁজছেন কেন ব্যর্থ হলেন তারা। ব্যতিক্রম নন লিটনও।

Babuনিজের পারফরম্যান্স নিয়ে লিটন বলেন, ‘প্রথম টেস্টের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট না। আরও ভালো করা উচিত ছিল এবং সুযোগও ছিল। আমার ভুলেই তা হয়নি, দ্বিতীয় ইনিংসের ওই সময়ে ওই শটটি (যে শটে আউট হয়েছেন) না খেললেও পারতাম।’

২০১৫ সালে ভারত সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা লিটন দাসের। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও দলে ছিলেন তিনি। তবে এরপর দীর্ঘ বিরতি। ব্যাটে রান না থাকায় দল থেকে বাদ পরে যান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাটে রানের খরা কাটিয়ে উঠে আবার ফিরেছেন জাতীয় দলের তাবুতে। তবে বিরতিকে কোন চাপ মনে করছেন না এ ব্যাটসম্যান।   

‘দেড় বছর (২০ মাস) পর টেস্ট খেলতে আসা কোন সমস্যা নয় কোনো চাপও নয়। আমি কোনো চাপ অনুভব করছি না। যে আসরেই হোক না কেন আমি রান করেই আবার দলে জায়গা পেয়েছি। ওই রান করার একটা আত্মবিশ্বাস আমারতো আছেই।’

Vision
তবে কেন গলে হলো না। উইকেট কি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছিল। লিটন জানালেন, ‘গলে প্রথম ইনিংসে ৫০০ রান করা উচিত ছিল। উইকেট তেমনই ছিল। একইভাবে দ্বিতীয় ইনিংসেও সাড়ে ৩৫০ থেকে ৩৬০/৩৭০ রান করার মত কন্ডিশন ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি। চেষ্টা থাকবে শততম টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখার।’

বুধবার পিসারা স্টেডিয়ামে শততম টেস্ট খেলতে নামবে টাইগাররা। এ টেস্টে দারুণ কিছু করে স্মরণীয় করে রাখতে চান লিটন। তবে এর জন্য বোলারদের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব বেশি বলে মানছেন তিনি, ‘বোলারদের সমান দায়িত্ব থাকলেও টিম বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ভর করে ব্যাটসম্যানদের উপর। তাই পিসারায় শততম টেস্টে ব্যাটিংয়ে ভালো করায় মনযোগী আমরা।’

এআরবি/আরটি/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।