পরিবর্তন আসছে শততম টেস্টের একাদশে!


প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৭

গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ড্র করার দারুণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ২৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে যেতে হলো বাংলাদেশকে। ম্যাচ চলাকালীনই অবশ্য বাংলাদেশের একাদশ নিয়ে নানান গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। তিন পেসার খেলানোর যৌক্তিকতা কী ছিল সেটা নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলেছে। কথা উঠেছে, কেন স্পিনার তাইজুলকে খেলানো হয়নি- এসব বিষয় নিয়েও।

কলম্বোয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে যে একাদশে পরিবর্তন আসছে এখন এটা চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায়। কারণ কলম্বোর পি সারা ওভাল পুরোপুরি স্পিন স্বর্গ। এখানে একজন স্পিনার বেশি না খেলানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন, কলম্বো টেস্টের একাদশে পরিবর্তন নিশ্চিত।

Babuবাংলাদেশ দলে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে গলে যারা টেস্ট খেলেননি, ঐচ্ছিক হলেও, তারা সবাই ছিলেন অনুশীলনে বেশ সিরিয়াস। সে বহরে ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রুবেল হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, তাইজুল ইসলাম, সাব্বির রহমান রুম্মন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন গতকাল রাতে কলম্বোয় আসা ইমরুল কায়েসও।

সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল তাদেরকে কিছুক্ষণ ফিল্ডিং ও ক্যাচিং প্র্যাকটিস করান। এরপরই চলে গেলেন মাঠের আরেক প্রান্তে থাকা প্র্যাকটিস কমপ্লেক্সের নেটে। নেট সেশন শুরুর আগেই উপস্থিত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

২৪ ঘণ্টা আগে দল ২৫৯ রানের ব্যবধানে টেস্ট হেরেছে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং হয়েছে যাচ্ছেতাই। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম ছাড়া সে অর্থে ‘টেস্ট ব্যাটিং’ করতে পারেনি দলের কেউই। ক্রিকেটারদের এ অনুজ্জল পারফরম্যান্সের দায় কোচ হিসেবে তার ওপরও বর্তায়।

জানা গেছে, গতকাল খেলা শেষে টিম মিটিংয়ে খেলোয়াড়দের একহাত নিয়েছেন হাথুরু। সফরের বাকি সময়ে সামর্থ্যের সবটুকু নিংড়ে দেয়ার জোর তাগিদও ছিল তার কণ্ঠে।

কিন্তু আজ যখন মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন, তখন দেখা গেলো যেন অন্য হাথুরু। একদম ধীরস্থির। চোখেমুখে কোনো বড় পরাজয়ের হতাশার লেশমাত্র নেই। খানিকটা নির্বিকার। কেন এমন নির্লিপ্ত বাংলাদেশ কোচ? এমন পরাজয়ের পরও কেন ভাবলেশহীন?

কথা-বার্তায় বোঝা গেলো, এই দলকে আরও অনেক দুর যেতে হবে, এটাই তার অনুভব। অন্তত দুই-তিনবার বললেন, ‘সাকিবছাড়া ২০ উইকেট নেয়ার মত বোলার আমার হাতে নেই। টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে দরকার ২০ উইকেটের পতন ঘটানো।’

Vision
তার দলের সেই ২০ উইকেটের পতন ঘটানোর সামর্থ্য নেই- এমন কথা সরাসরি না বললেও, আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তার দলের বোলিং শক্তি খুবই অনভিজ্ঞ। সাকিবছাড়া সবাই নবীন ও তরুণ। হাথুরুর অনুভব, ‘শুধু দ্বিতীয় ইনিংসেই নয়, ব্যাটিং ভালো হয়নি প্রথম ইনিংসেও।’ তার কথা, ‘প্রথম ইনিংসে উইকেট আরও ভালো ছিল; কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরা সামর্থ্যের প্রয়োগ ঘটাতে পারেননি। যে কারণে ব্যবধানটা বড় হয়ে গেছে।’

শ্রীলংকা তিন স্পিনার খেলিয়ে সাফল্য পেয়েছে। বাংলাদেশ কী তিন স্পিনার খেলাতে পারতো না? তাইজুল খেললে কী ভালো হতো না? হাথুরুর ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা, ‘না ভালো হতো না। তাইজুল, কোকাবুরা বলে বেশি ভালো বল করে; কিন্তু এখানে খেলা হচ্ছে এসজি বলে। সেই বলে তাইজুলের বোলিং কার্যকরিতা খুব একটা ভালো হয় না- এটা আমি লক্ষ্য করেছি। তাই তাকে গলে খেলানো হয়নি।’

তবে, কোকাবুরা আর এসজি বলের পার্থক্য যাই থাকুক, কলম্বো পি সারা স্টেডিয়ামে খুব সম্ভবত তাইজুলকে খেলতে দেখা যাবে। কারণ, কলম্বোর এই মাঠ আগা-গোড়াই স্পিনারদের স্বর্গ। এখানে সব সময়ই স্পিনাররা বাড়তি সাহায্য পায়। তাই তো কোচ হাথুরুর শেষ কথা, ‘কলম্বোয় একাদশে পরিবর্তন আসবে অবশ্যই। সেটা বাংলাদেশের শততম টেস্ট বলে নয়, কন্ডিশনের কারণে।’

এআরবি/আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।