সেনা মোতায়েনের দাবি প্রার্থীদের


প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ১২ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা। এছাড়া নির্বাচনকে পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করে সবার জন্য সমান সুযোগ অর্থাৎ লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবি জানান তারা।

রোববার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানান প্রার্থীরা।

ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। এছাড়া চার নির্বাচন কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, ইসির অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রার্থীরা অংশ নেন।

সভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, সব প্রার্থীর দাবিগুলোর সঙ্গে আমি একমত। ইসিকে যথাসম্ভব এসব  দাবি পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।

এর আগে বিএনপিসমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে বলেন, ২০ দলের নেতাকর্মীসহ তার কর্মী-সমর্থকদের মামলা দিয়ে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। তাই অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন। ইসিকে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিকল্প ধারা বাংলাদেশের নেতা মেয়র প্রার্থী মাহী বি চৌধুরী নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু কোন প্রার্থী কত ব্যয় করছেন, এ বিষয়ে ইসির কোনো মনিটরিং নেই।

এ কারণে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি করে তা তদারকি করতে হবে। এক্ষেত্রে কে কখন অভিযোগ দেবেন, সেদিকে তাকিয়ে থাকা চলবে না। নির্বাচন যেন বিত্তবানদের অর্থের লড়াইয়ে পরিণত না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা নাদেও চৌধুরী বলেন, ইসির ভেতরে সমন্বয় নেই। এটি দূর করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সভার শুরুতেই মেয়র প্রার্থী আনিসুজ্জামান খোকন তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীরা গণমাধ্যমে প্রচারণায় সমান সুযোগ পাচ্ছেন না। এতে ইসির কোনো তদারকি নেই। ফলে হেভিওয়েট প্রার্থীরা বেশি সুযোগ পাচ্ছেন।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, যুব ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ক্বাফি রতন, মেয়রপ্রার্থী ফজলে বারী মাসুদ, জামান ভূইয়া, বাহাউদ্দীন আহমেদ বাবুল, শামসুল হুদা চৌধুরী, শেখ শহিদুজ্জামান প্রমুখ। সভায় কাউন্সিলর প্রার্থীরাও সেনা মোতায়েনসহ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ১৬, কাউন্সিলর ২৮০ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসির তফসিল অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল নির্বাচনের ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে।

এইচএস/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।