‘নো’ বলে অসন্তুষ্ট হাথুরু


প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৭

খালি চোখে বাংলাদেশের বোলিংয়ে ধার কম বলে মনে হলেও আজ বোঝা গেছে, শুভাশিসের ওই ‘নো বলটাই’ যত বিপত্তির মূল কারণ। না হয় লঙ্কানরা ৫০০‘র দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারত না।

সেটা যে পারতো না, তার প্রমাণ মিলবে একটি ছোট্ট পরিসংখ্যানে- উইকেটে এসে প্রথম বলে শূন্য রানে পরিষ্কার কট বিহাইন্ড হয়েও ‘নো বলে’ বেঁচে যাওয়া কুশল মেন্ডিস একাই করেছেন ১৯৪ রান।


Babuযা লঙ্কান স্কোরের প্রায় ৪০ ভাগ। তার ‘বিগ’ হান্ড্রেডের ওপর ভর করেই হেরাথের দল পেয়েছে ৪৯৪ রানের বড় পুুঁজি। তারপরও বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলছেন, আগেরবার গলে লঙ্কানরা যে দল নিয়ে খেলেছিল, এবারের দল শক্তিতে তার চেয়ে অনেক কম।

ওই দলে কুমারা সাঙ্গাকারা, তিলকারত্নে দিলশানের মত নামী তারকারা ছিলেন। তাই ৫৭৮ রানের বড় স্কোর গড়তে পেরেছিল লঙ্কানরা। এবার সাঙ্গাকারা, দিলশান এবং অ্যাঞ্জোলো ম্যাথিউজদের কেউ নেই।

একদম তারুন্য নির্ভও একটি দল। সেই দলও ৪৯৪ রান করে ফেলেছে। তাই বোলিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। তবে কোচ অবশ্য হতাশ নন। হাথুরুর মূল্যায়ন, লঙ্কান ব্যাটিংয়ের মত বাংলাদেশের বোলিংটাও তারুণ্য নির্ভর।

তাই তো মুখে এমন কথা, ‘আমি আমার দলের বোলিংয়ে সন্তুষ্ট। এক ঝাঁক তরুণে গড়া বোলিং লাইন আপ। খেয়াল করে দেখুন, সাকিব ছাড়া বাকিরা মিলে ১৫ টেস্ট খেলেছে।’
Vision
এমন অনভিজ্ঞ বোলারে সাজানো বোলিং নিয়ে অসন্তোষ না থাকলেও নো বল করার প্রবণতায় হতাশ কোচ হাথুরুসিংহে। কোনোরকম ভনিতা না করে বলেই ফেললেন, ‘আমি হতাশ আসলে, নো বল করা দেখে। জানি নো বলের ওপর কারো হাত নেই। তারপরও সত্যিই আমি ভাইটাল মুহূর্তে নো বল দেখে যারপরনাই হতাশ।’

এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।