কামারুজ্জামানের ফাঁসিতে সোহাগপুর বিধবাপল্লীতে স্বস্তি


প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৫

একাত্তরের ২৫ জুলাই ভোরবেলা কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে রাজাকার, আলবদর বাহিনী ও  পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সদস্যরা শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুর গ্রাম ঘিরে ফেলে। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা ১২০ জন পুরুষকে ধরে এনে হত্যা করে। ধর্ষণের শিকার হন গ্রামের নারীরা।

এক গ্রামে একসঙ্গে এতজন পুরুষ নিহত হওয়ায় গ্রামের অধিকাংশ নারীকে অকালে বৈধব্য নিতে হয়েছিল বলে সোহাগপুরের নাম হয়ে যায় ‘বিধবাদের গ্রাম’।

এ গ্রামের শহীদ রহিম উদ্দিনের স্ত্রী কুরফুলি বেওয়া (৭৫), শহীদ আব্দুল লতিফের স্ত্রী হাছেন বানু (৭০), শহীদ ফজর আলীর স্ত্রী জবেদা বেওয়া (৬৫), শহীদ সিরাজ আলীর স্ত্রী সমলা বেওয়া (৬২), শহীদ বাবর আলীর স্ত্রী জবেদা বেওয়া (৭৫), শহীদ কাইঞ্চা দেওয়ানের  স্ত্রী আছিয়া বেওয়াসহ (৭৫) বহু নারী সেদিন স্বামী, সম্ভ্রম হারান।

কামারুজ্জামানের ফাঁসির খবরে তারা সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, বলেছেন বিচার পাওয়ার কথা। 

এই ‘কুলাঙ্গার সন্তানের’ ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় ৪৪ বছর পর শেরপুর ‘কলঙ্কমুক্ত হল’ বলে মন্তব্য করেছেন সোহাগপুর শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন।

যুদ্ধাপরাধী এই জামায়াত নেতার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার খবরে শনিবার রাতে শেরপুরের মক্তিযোদ্ধা, কামারুজ্জামানের মামলার সাক্ষী ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বয়ে যায় আনন্দের ঢেউ।

শেরপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোখলেছুর রহমান, ডেপুটি কমান্ডার আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ দে কৃষ্ণ, মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু সালেহ নুরল ইসলাম হিরু, মুক্তিযোদ্ধা তালাপতুপ হোসেন মঞ্জু, মামলার সাক্ষী ও শহীদ স্বজন মোশাররফ হোসেন তালুকদার মানিক সন্তোষ প্রকাশ করে যুদ্ধাপরাধ মামলার বাকি রায়গুলো বাস্তবায়নের দাবি জানান।

এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।