লজ্জাজনক হার টাইগারদের


প্রকাশিত: ০২:৫১ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৪

টানা ১০টি ওয়ানডে হারে খাদের কিনারায় চলে এসেছিল বাংলাদেশ। ১১ম পরাজয় ঠিক যেন খাদেই পতন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুধু সিরিজ হারালো না, বরণ করলো ১৭৭ রানের লজ্জার পরাজয়ও। সেই সঙ্গে যুক্ত হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি সর্বানিন্ম রানের রেকর্ডও।

গ্রানাডায় গতকাল সিরিজ বাঁচানোর দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ও বোলাররা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ২৪৮ রানের টার্গেট দেন ৭ উইকেট হারিয়ে। আর বাংলাদেশ জবাব দিতে নামলে মাত্র ৭০ রানেই মুশফিক বাহিনী গুটিয়ে যায়। আর আরেকবার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ব্যাটসম্যানরা উপহার দেন ২৩ম বার ১০০ নিজে দলীয় স্কোর। শুধু তই না এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় সর্বনিন্ম সংগ্রহ। এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে মাত্র ৫৮ রানেই আল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে এই বছরই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল আউট হয়েছিল ৫৮ রানেই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এনামুল হক বিজয় সাজঘরে ফেরেন দলীয় ১২ রানের সময়। তার ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ৭ রান। তবে অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে একাই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে অন্যপ্রান্তে শুরু হয় অসা যাওয়ার মিছিল। ৫০ বলে ৩৭ রান করে তামিম ইকবাল যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে  যোগ হয়েছে মাত্র ৫৭ রান। কিন্তু উইকেটের পতন হয়েছে ৬টি। এরপর স্কোর বোর্ডে আর ১৩টি রান যোগ হতেই বাকি ৪টি উইকেট তুলে নেন ক্যারিবীয়  বোলারা।

দলের পক্ষে একমাত্র তামিম ইকবালই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করেন। বাকিরা এক অংকেই প্রকাশ করেছেন নিজেরদের ব্যাটিং দৈন্যতা। বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে মুশফিকুর রহিম ও নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে দলের জন্য এই দু’জনের অবাদান ৬টি করে রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে স্পিনার সুনীল নারিন ১৩ রানে ৩টি ও ক্যামার রোচ ১৯ রানে একই সংখ্যক উইকেট নেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।