বাংলাদেশকে জয়ের জন্য খেলা উচিত


প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ০৬ মার্চ ২০১৭

আগামীকাল আমাদের ৯৯তম টেস্ট, এরপর শততম। আশা করি শ্রীলঙ্কা থেকে ভালো ফল নিয়েই ফিরবেন মুশফিকরা। ঐতিহাসিক এই মাইলফলককে জয় দিয়েই স্মরণীয় করে রাখবে। আর গলের উইকেট আমাদের জন্য আশীর্বাদ। সেখানে আমাদের অনেক সুখস্মৃতি আছে। আশা করি এবারও আমাদের জন্য ভালো হবে।

শ্রীলঙ্কার এ দলটি তরুণ। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ তাদের চেয়ে অনেক অভিজ্ঞ। আমাদের সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। ওদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় শ্রীলঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপে নেই। আমার মতে, এ সিরিজে বাংলাদেশই ফেবারিট। তাই বাংলাদেশকে জয়ের জন্যই খেলা উচিত। এমনকি এ সফরের সবগুলো ম্যাচই জেতা উচিত। টি-টোয়েন্টি সিরিজের কথা বলতে পারছি না। কারণ এ সংস্করণে সব দলেরই সম্ভাবনা থাকে। তবে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে বাংলাদেশেরই জেতা উচিত। আর সে সামর্থ্য আমাদের আছে।

যদিও আমাদের হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে ওদের অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ। ওদের দলে সেই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। আর অভিজ্ঞতার পাশাপাশি দারুণ একজন স্পিনারও সে। তার ওপর নিজেদের মাটিতে খেলবে। তাকে অবশ্যই দেখেশুনে খেলতে হবে। তবে অন্য যারা আছে, তাদেরও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ অনেক সময়ই দেখা যায় বাংলাদেশ অচেনা কোন খেলোয়াড়ের কাছেই হেরে যায়। ওদের দলে বেশকিছু নতুন মানসম্মত খেলোয়াড় আছে।

টেস্ট যেহেতু পাঁচদিনের খেলা, তাই বাংলাদেশের চাপটা একটু কম থাকবে। কারণ সম্প্রতি আমরা নিউজিল্যান্ড ও ভারতে খেলে এসেছি এবং খুব ভালো খেলেছি সেখানে। পক্ষান্তরে ওরাও খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং সবই হেরেছে। আর ওদের দলটি নতুন অনভিজ্ঞ দল। তাই চাপটা ওদের ওপরই থাকবে। তাই আমার মনে হয়, আমাদের জেতার খুব ভালো সম্ভাবনা আছে। আর গল বলে আমি আরও আশাবাদী, কারণ ওখানে আমাদের ক্রিকেটাররা ভালো খেলে।

সঙ্গে মোস্তাফিজও দলে ঢুকেছে। এটা কিন্তু আমাদের অনেক বড় সুবিধা। কারণ ও কী মাপের খেলোয়াড় তা আগেই প্রমাণিত হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচেও দারুণ ছন্দে বোলিং করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় সুসংবাদ।
Vision
এছাড়া দেখলাম সৌম্য সরকারকে দিয়ে মুশফিক বল করিয়েছে। এটা ভালো। কারণ ও একজন অলরাউন্ডার। ও বোলিং করলে বোলিং বৈচিত্র্য বাড়ে। আর পিএসএলে দেখলাম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভালো বল করেছে। তাই আমার মতে, তাকে দিয়েও দু-একটা স্পেল করানো উচিত।

আমাদের জন্য আরও একটি ভালো সংবাদ হচ্ছে, মুশফিকের উইকেটকিপিং ছাড়া। কারণ এখনও অনেক চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবে। এতে ওর ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাড়ানোর সুযোগ বেশি থাকবে। পাশাপাশি অধিনায়কত্ব করাটাও সহজ হবে। মুশফিক কিপিং ছাড়ায় লিটন খেলবে। লিটনও কিন্তু ভালো ব্যাটিং করে। তবে এজন্য হয়তো সাব্বিরকে একাদশে রাখা সম্ভব হবে না। তবে মুশফিককে চাপমুক্ত রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। সে চাপমুক্ত হয়ে খেলুক এটাই আমি চাই।

এছাড়া আমাদের বড় সুবিধা হচ্ছে, আমাদের কোচিং স্টাফরা কিন্তু বেশির ভাগই শ্রীলঙ্কান। তারা লঙ্কান পরিবেশ খুব ভালোমতোই জানে। পাশাপাশি ওদের দুর্বলতাটাও ভালো জানে। তাই তাদের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক কাজে লাগবে। এ দিক থেকেও কিন্তু আমরা এগিয়ে।

সব মিলিয়ে এ টেস্টে আমি জয়ই আশা করছি। আর সে সামর্থ্য মুশফিকদের আছে। দলের সবাই যদি নিজের কাজটা ঠিকভাবে পালন করে তবে জয় অসম্ভব কিছুই নয়, কমপক্ষে ড্রতো খুব সম্ভব।

আরটি/আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।