লাহোরের নিরাপত্তায় খুশি স্যামি


প্রকাশিত: ১১:০৭ এএম, ০৬ মার্চ ২০১৭

নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও লাহোরে খেলতে যান ড্যারেন স্যামি। তার সঙ্গে ছিলেন স্বদেশি মারলন স্যামুয়েলসও। পেশোয়ার জালমির অপর দুই বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে পাকিস্তানে যান ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান ও ক্রিস জর্ডান।

ভয় ও শঙ্কা উপেক্ষা করে পাকিস্তানে খেলতে গিয়ে লাহোরে কঠোর নিরাপত্তা লক্ষ্য করেছেন স্যামি। আর তাতে খুশি ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটার। ফাইনালে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে ৫৮ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে স্যামির নেতৃত্বাধীন পেশোয়ার জালমি।

ফাইনাল শেষে স্যামি বলেন, ‘আমি ফাইনাল উপভোগ করেছি। লাহোরে কঠোর নিরাপত্তা দেখে আমি খুশি। এর আগে এমনটা কখনও দেখিনি। সুতরাং এটা আমার নতুন অভিজ্ঞতা। আশা করি, সব কিছুই একদিন ঠিক হয়ে যাবে। আমি বলতে চাই যে, ফাইনাল খেলার সময় মনে হচ্ছিল আমি সেন্ট লুসিয়া (লাহোরে নয়!), ভারত কিংবা বিশ্বের অন্য কোথাও খেলছি।’

টুর্নামেন্টের আগে হঠাৎ আফ্রিদি ঘোষণা দেন, অধিনায়কের পদটা স্যামিকে দেন। কৃতজ্ঞ স্যামি বলেন, ‘এটা আমার কাছে একটা ম্যাচের চেয়েও অনেক বেশি কিছু। টুর্নামেন্টের আগেই লালা (আফ্রিদি) ঘোষণা করেছিল,  পেশোয়ারের অধিনায়কের দায়িত্ব আমার ওপর বর্তায়। সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় আমরা শিরোপা জিতলাম। অনেক ভালো লাগছে।’

লাহোরে ফাইনাল খেলার ব্যাপারে স্যামিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন দুই আফ্রিদি (শহিদ আফ্রিদি ও পেশোয়ারের মালিক জাভেদ আফ্রিদি)। সে কথাই ফুটে উঠলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারের ভাষ্যে, ‘আপনি পৃথিবীর এমন কোনো জায়গা পাবেন না যেখানে শঙ্কা নেই। নানা মুনির নানা মত। জাভেদ আফ্রিদি ও শহিদ আফ্রিদির সঙ্গে কথা বলেই এখানে আসতে রাজি হই।’

এনইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।