শুরুতেই হোঁচট খেল আবাহনী


প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৫

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ের পর সমর্থকরা নতুন করে আশায় বুক বেধেছিল লিগ নিয়ে। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পশ্চিম গ্যালারিতে বসে আবাহানীর সমর্থকরা দেখেছে প্রিয় দলের পয়েন্ট হারানো। বুধবার রহমতগঞ্জের সাথে ২-২ গোলে ড্র করে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন শুরু করলো জর্জ কোটানের শিষ্যরা।

আবাহনীর ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা আর রহমতগঞ্জের রক্ষণভাগ কৃতিত্বেই গোলশূন্য ছিল প্রথমার্ধ। না হলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে পারতো আকাশী-হলুদ শিবির। বলতে গেলে প্রথমার্ধের পুরোটা সময়ই রহমতগঞ্জকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে আবাহনীর আক্রমন ঠেকাতে। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমন-পাল্টা আক্রমন, গোল-পাল্টা গোল।
 
নিরপেক্ষ দর্শকরা দ্বিতীয়ার্ধটা বেশ উপভোগে করলেও নিজ দলের পোস্টে বল ঠোকার দৃশ্যগুলো যেন সেলের মতো বিধছিল আবাহনী সমর্থকদের বুকে। ৫৭ মিনিটে সোরবা গোল করলে এগিয়ে যায় আবাহনী। তবে আবাহনীর এ উল্লাস স্থায়ী ছিল মাত্র এক মিনিট।

পরের মিনিটেই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড গিডিওন সোলোমন গোল করে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন রহমতগঞ্জকে। ৭২ মিনিটে নাসিরের পাস থেকে গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে দেন গাবোর ডেমজেন।

কষ্টে হলেও পুর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রহর গুনছিল আবাহনীর খেলোয়াড়রা। সমর্থকরাও গ্যালারি ত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছিল তৃপ্তির হাসিসহ। কিন্তু শেষ মিনিটের একটি ঝড় উড়িয়ে দেয় আবাহনী শিবিরের মুখের হাসি।

নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে ফরাশগঞ্জকে বাঁচান মান্নাফ রাব্বি। ইনজুরি সময়ে বদলি ফরোয়ার্ড মান্নাফ রাব্বির অসাধারণ গোলটা কালো মেঘ হয়ে ঠেকে দেয় আবাহনীর জয় দিয়ে লিগ শুরুর স্বপ্ন।

এমআর/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।