খোলা আকাশের নিচে পাঠদান
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পোঁওয়াতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি টিনের ঘর ভেঙে গেছে। তিন দিনেও ঘরগুলো নির্মাণ করতে না পারায় ১২০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। গত শনিবারের ঝড়ের তাণ্ডবে স্কুলটির এ অবস্থা হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটি জানান, স্কুলটি ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এ ছাড়াও তারা ভবনটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা অজোপাড়াগাঁ পোঁয়াতাপাড়া গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকা ও বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ১৯৯৬ সালে ওই গ্রামে পোঁওয়াতাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
কিন্তু, শনিবারের ঝড়ে তিনটি ঘরই ভেঙে গেছে। ঘরের মধ্যে থাকা চেয়ার-টেবিল বেঞ্চগুলোও ভেঙে গেছে। ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ের ফাঁকা মাঠে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থী ফারজানা, জান্নাতুন ও শৈকত হোসেন জানান, ২২ এপ্রিল থেকে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। বিদ্যালয়ের ঘরগুলো ভেঙে যাওয়ায় তাদের খোলা আকাশের নিচে মাঠের মধ্যে পড়াশুনা করতে হচ্ছে। আশেপাশে কোনো গাছ না থাকায় দুপুরে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে তাদের কষ্ট হচ্ছে।
অনেক অভিভাবক জানান, ঘরগুলো ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। ঘরগুলো নির্মাণ করা না হলে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ব্যহত হবে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাবেরা সুলতানা জানান, গত বছর বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলেও ভবন নির্মাণ করা সম্ভব না হওয়ায় টিনের ঘরে পাঠ দান করা হচ্ছিল। এমতাবস্থায় ঝড়ে ঘরগুলো ভেঙে যাওয়ায় ১২০ জন শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, অনেক আগে থেকে ভবন নির্মাণের দাবি জানালেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস প্রদান করেন। ২২ এপ্রিল থেকে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কোথায় পরীক্ষা নেয়া হবে তা জানা নাই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মজনুর রহমান জাগোনিউজকে জানান, ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়টি দেখে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
এসএইচএ/এমএএস/আরআইপি