ইডেনে ‘অধিনায়ক’ ধোনির ব্যাটে দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি


প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ধোনির ব্যাটে কী তবে অনেক ক্ষোভ জমা হয়েছিল? আগেরদিন কর্নাটকের কাছে শ্বাসরূদ্ধ ৫ রানের ব্যবধানে পরাজয়ের পর সেই ক্ষোভের পাহাড় শুধু বড়ই হয়েছে। অবশেষে চত্তিশগড়কে পেয়ে যেন সব ক্ষোভ একসঙ্গে উগড়ে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১০৭ বলে খেললেন ১২৯ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস। ১০টি বাউন্ডারি আর ৬টি ছক্কার মারে মাতিয়ে তুলেছেন কলকাতার ইডেন গার্ডেনকে।

ধোনির বিধ্বংসী ইনিংসের ওপর ভর করেই চত্তিশগড়ের বিপক্ষে ২৪৩ রানের স্কোর দাঁড় করায় ধোনির ঝাড়খণ্ড এবং শেষ পর্যন্ত বোলার নৈপুন্যে ৭৮ রানের বিশাল এক জয় পায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।

টেস্টের পর কিছুদিন আগেই ওয়ানডে এভং টি-টোয়েন্টিতে দেশের নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন স্ব-ইচ্ছায়। তবে বলতে গেলে অপমানজনকভাবেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি পুণে সুপারজায়ান্টসের অধিনায়কত্ব থেকে। যেটা এসেছিল খুব হঠাৎ করেই।

এসব কারণে হয়তো জবাবটা দিলেন তিনি মাঠেই। তাও আবার কলকাতায়। বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলতে ঝাড়খণ্ডের অধিনায়ক হয়েই মাঠে নামতে হলো ক্যাপ্টেন কুলকে। সেই ভারতীয় দলের জার্সিতে যে অধিনায়ককে দেখেছে পুরো বিশ্ব, তাকেই আবার ফিরে দেখল ইডেন। হাবেভাবে কোনও পরিবর্তন নেই। সেই অধিনায়কোচিত ঢঙেই রাজ্যকে সেঞ্চুরি উপহার দিলেন, তাও আবার তার প্রিয় ইডেন গার্ডেনে। ১০৭ বলে ১২৯ রানের ইনিংস দেখার সৌভাগ্য যাঁদের হল তাঁরাই বলতে পারবেন দুই ধোনির মধ্যে যে কোনও পার্থক্যই নেই।

রোববার ইডেনে টস জিতে ঝাড়খণ্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ছত্তিশগড়। শুরুটা আবারও ভাল করতে পারেননি ঈশান কিষান, সৌরভ তিওয়ারিরা। এরপর হাল ধরতে নামেন ধোনি। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১২৯ রানের ইনিংস খেলেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। ১০৭ বলে ১২৯ রানের এই ইনিংস সাজানো ছিল ছয় ছক্কা আর ১০টি বাউন্ডারিতে। তার রানের সুবাদেই ঝাড়খণ্ড নির্ধারিত ৫০ ওভারে করে ৯ উইকেট হারিয়ে করে ২৪৩ রান।

পরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই শেষ হয়ে যায় ছত্তিশগড়ের ইনিংস। ৩৮.৫ ওভারে ১৬৫ রানে অলআউট। ধোনির ঝাড়খণ্ড জিতল ৭৮ রানে। প্রথম ম্যাচে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে পাঁচ রানে হারতে হয়েছিল ধোনিবাহিনীকে। সেই ম্যাচে ধোনির ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৩ রান।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।