বোলারদের ব্যাটিংয়ে দক্ষিণাঞ্চলের জয়
বোলারদের ব্যাটসম্যান হবার দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ বিসিএল-এ জয় পেয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা মধ্যাঞ্চলের ২১৩ রানের জবাবে মাশরাফির অনবদ্য ৫০ রানের সুবাদে ৩ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণাঞ্চল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো করেনি মধ্যাঞ্চল। রুবেলের বোলিং তোপে মাত্র ২০ রানেই তারা হারায় ওপেনার আব্দুল মজিদকে। রুবেলের সাথে আব্দুর রাজ্জাকও যোগ দিলে স্কোর বোর্ডে আরও ৩৭ রান করতেই শামসুর,রনি তালুকদার ও শুভাগত হোমের উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকতে থাকে মধ্যাঞ্চল। বিপর্যস্ত অবস্থায় দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
কিন্তু,সেই রুখে দাঁড়াবার চেষ্টাও খুব একটা কাজে আসেনি। ব্যক্তিগত ৩১ রানে এনামুল হক জুনিয়রের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
এরপর,শরীফ ও ধীমান মিলে গড়েন ৫২ রানের জুটি। সেই সুবাদে ২০০ কোটা পেরোয় মধ্যাঞ্চলের ইনিংস। দলীয় ২০৮ রানে শরীফের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তাদের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ২১৩ রানেই থামে রিয়াদরা। ধীমান ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে ৪২ রানে ৫ উইকেট নেন পেসার রুবেল হোসেন।
জবাবে, ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দক্ষিণাঞ্চলের দুই ওপেনার ইমরুল ও সৈকত। ৪৯ রানের সেই দারুণ জুটি ভাঙার পরপরই যেন মড়ক লাগে মাশরাফিদের ইনিংসে। মাত্র ৯ রান করে ইমরুল বিদায় নিলেও ফিফটি তুলে নিয়ে মোশাররফ রুবেলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৈকত।
এর পরপরই বল হাতে ঘূর্ণি দেখান মধ্যাঞ্চলের স্পিনার ইলিয়াস সানি। তার স্পিন বিষে মুহূর্তেই ৭ উইকেটে ১৪৭ রানে পরিণত হয় দক্ষিণাঞ্চলের স্কোর। দলের হার যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র ঠিক তখনি ব্যাট হতে জ্বলে ওঠেন অধিনায়ক মাশরাফি। মাত্র ৩৩ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার সাথে ২১ বলে অপরাজিত ২৮ রান করে যোগ্য সঙ্গ দেন আব্দুর রাজ্জাক। অষ্টম উইকেটে দু`জনে মিলে গড়েন ৭৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দক্ষিণাঞ্চল।
এমআর/এমএস