বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টকে গিনেস বুকে ওঠানোর উদ্যোগ


প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ছেলেদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪২০ এবং মেয়েদের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় ১০ লাখ ৯১ হাজার ৩৩২ জন। দুটি টুর্নামেন্ট মিলে মোট অংশগ্রহণকারী ফুটবলার ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫২ জন।

এত বেশি সংখ্যক ফুটবলার নিয়ে কোনো টুর্নামেন্ট বিশ্বে আছে কি না তা জানা নেই কারো। অনেকের ধারণা এটা বিশ্ব রেকর্ড। সে রেকর্ড ঘাঁটা শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। যদি বিশ্বে এর চেয়ে বেশি খেলোয়াড় নিয়ে কোনো টুর্নামেন্ট না হয় তাহলে বাংলাদেশের এ বিশাল ফুটবলযজ্ঞ স্থান পাবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকডর্সে।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকডর্সে যুক্ত করার উদ্যোগের কথা জানিয়ে বাফুফের সহ-সভাপতি ও ডেভেলপম্যান্ট কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায় বলেছে, ‘আমরা খবর নিয়েছি, বিশ্বের কোথায় এতো সংখ্যক প্রতিষ্ঠান ও ফুটবলার নিয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন হয় না। আমরা দুটি আয়োজনকে রেকর্ডবুকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যেগ নিয়েছি।’

football

তৃণমুল থেকে ফুটবল উন্নয়নের এ বিশাল কাজটি করছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগো ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে ছেলেদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। মেয়েদের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের যাত্রা তার পরের বছর।

ছেলেদের বিভাগে দেশের ৬৪ হাজার ২৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মেয়েদের বিভাগে ৬৪ হাজার ১৯৬টি প্রাথমিক স্কুলের প্রায় ২২ লাখ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যে টুর্নামেন্ট চলছে তার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়েছে বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। দুই বিভাগেই অংশ নিচ্ছে ১৪টি করে স্কুল। বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল খেলছে শিরোপা নির্ধারনী এ পর্বে। ২ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবলের ফাইনাল।

জাতীয় দল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খাবি খেলেও ভালো করছে বয়সভিত্তিক দলগুলো। এর পেছনে প্রধান ভূমিকা স্কুলভিত্তিক এ দুটি টুর্নামেন্টের। মেয়েদের ফুটবলে যে সম্ভাবনার হাতছানি সবকিছুর প্রধান উৎস বঙ্গমাতা ফুটবল। সরকারের এতবড় ফুটবলযজ্ঞের পরও সেটাকে কাজে লাগাতে পারছে না বাফুফে। বিশ্বের কোনো দেশের সরকার তাদের ফেডারেশনকে এভাবে প্রতিভা খোঁজার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয় কি না সেটাও গবেষার বিষয়।

football

চূড়ান্ত পর্ব শুরুর দিন মন্ত্রণালয় ও বাফুফের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছিল ক্ষুদে ফুটবলারদের পরিচর্যার প্রসঙ্গটি। বাফুফে থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে এ কাজটি করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘প্রতিযোগিতা আয়োজনের পাশাপাশি প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পরিচর্যা সংক্রান্ত প্রস্তাবে মন্ত্রণালয় সম্মত হয়েছে। বাজেটে বিষয়টি যুক্ত করার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলরা। এটা মন্ত্রণালয়ের চমৎকার উদ্যোগ। এ আয়োজন থেকে বাংলাদেশ ফুটবল অনেক কিছু পেয়েছে। এ উদ্যোগের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

এ আয়োজন থেকে উঠে আসা ছেলে-মেয়েরা আগামীতে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘চলমান আয়োজনে যে বাচ্চারা অংশগ্রহণ করছে। তারা ভবিষ্যতে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করে দেশের ভাবিমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

আরআই/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।