তাসকিনের আক্ষেপ


প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সাদা জার্সিতে খেলা প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্যই স্বপ্নের মত। আর এ স্বপ্নটা বাস্তব হয় অনেক কম ক্রিকেটারেরই। স্বাভাবিকভাবেই স্বপ্নটা দেখেছিলেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদও। যদিও নিউজিল্যান্ড সিরিজে হঠাৎ করেই মিলে যায় এ সুযোগ। পারফরম্যান্সও করেন দারুণ। তবুও এতে সন্তুষ্ট নন বাংলাদেশ দলের এই পেসার। কারণ তার খেলা তিন টেস্টের তিনটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এবার সে আক্ষেপটা ঘোচাতে চান শ্রীলঙ্কা সিরিজে।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে অনুশীলন শেষে টেস্ট ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তাসকিন বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব খুশি না। সবচেয়ে বড় কথা, দুঃখজনকভাবে তিনটা টেস্টই হেরেছি। আমি তিনটাই খেলেছি। শেষ কয়েকটি সিরিজের ভুলগুলো সামনে শোধরাতে চাই। সেটা পারলে, আশা করি শ্রীলঙ্কায় ভালো ফলাফল হবে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে শ্রীলঙ্কা ভালো কিছু করতে চাই।’

টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক অনেকটা স্বপ্নের মতই। নিয়মিত টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেললেও বড় দৈর্ঘের ম্যাচ খেলেছেন সেই ২০১৩ সালের জাতীয় লিগে। এরপর চার বছরে বড় দৈর্ঘের ম্যাচ না খেলেই সুযোগ হয় টেস্ট দলে। টেস্ট ক্রিকেটের নিয়মিত পেসারদের ইনজুরিতেই সুযোগটা মিলে যায় তার। দীর্ঘদিন পর সাদা জার্সিতে খেলেও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন তাসকিন। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার চেয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করেন এ পেসার।

‘আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। অনেক কিছু মেনে চলতে হয়। ফিট থাকা কঠিন একটা কাজ। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের চেয়ে টেস্টে অনেক বেশি চাপ পড়ে। শারীরিকভাবে ফিট থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মানসিক শক্তিটা। আমি তাই শারীরিকভাবে শক্ত থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবে শক্ত থাকার জন্যও চেষ্টা করছি। সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলছি। মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো মানসিকভাবে শক্ত থাকা।’

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শেষেই পুর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে তাসকিনসহ মোট পাঁচজন পেসার রয়েছেন দলে। তাই মূল একাদশে জায়গা পেতে চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হবে তাকে। তবে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন এ পেসার।

আরটি/আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।