‘মুশফিক এই সম্মানটা পেতেই পারে’


প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

২০০৫ সালে লর্ডসে টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক মুশফিকুর রহীমের। এখন এই সংস্করণে বাংলাদেশের অধিনায়ক তিনি। পাশাপাশি এতো বছর ধরে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালনও করে আসছেন। তবে সমালোচনাও কম শুনতে হচ্ছে না তাকে। অনেকেই এক হাত নিয়ে মতামত দিয়েছেন, স্বেচ্ছায় না ছাড়লে জোর করে হলেও তার হাত থেকে গ্লাভস নিয়ে নিতে। যদিও বিষয়টি মুশফিকের উপরই ছেড়ে দিতে চান বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। দীর্ঘদিন ধরে দলকে সার্ভিস দিয়ে আসায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্মানটা মুশফিক পেতেই পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মুশফিক আগামী সিরিজে কিপিং ছাড়ছেন কি না জানতে চাইলে সুজন বলেন, ‘কিপিং একটা থ্যাংকসলেস জব। তারপরও ও (মুশফিক) যদি খেলে যেতে চায়, তবে যেতে পারে। আর যদি ও নিজেকে ক্লান্ত মনে করে, সেটা আলাদা কথা। এ ক্ষেত্রে ওর কথাটাই শোনা উচিত। কারণ দলকে অনেক সার্ভিস দিয়ে আসছে, ও এই সম্মানটা পেতেই পারে।’

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সহজ একটি স্ট্যাম্পিং মিস করেন মুশফিক। যার সুবাদে ৪ রানে জীবন পেয়ে সেঞ্চুরিই করে ফেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। এরপরই সমালোচনার বাণে বিদ্ধ হতে থাকেন মুশফিক। অথচ নিজেদের প্রথম ইনিংসে দারুণ একটি সেঞ্চুরিও করেন তিনি।

‘মুশফিক একটা ভালো কিছু করলে সেটা আলোচিত হয় না; কিন্তু একটা ভুল করলে সেটা বাতাসে ভাসতে থাকে। এটা বাংলাদেশের মানুষের মনে গেঁথে যাওয়া সমস্যা। একটু খারাপ করলে অনেককে দেখি হামলে পড়তে চায়, হিংস্র হয়ে উঠে। টকশোতে কথা বলে; কিন্তু আড়াই বছরের দারুণ সাফল্যের কথা কেউ বলে না।’

বিষয়টি সম্পূর্ণ মুশফিকের উপরই ছাড়তে চান সুজন। চাপ অনুভব করলে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি, ‘সে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। সে সব সংস্করণেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। ও-ই বলতে পারবে ওর কাজের চাপ বেশি কি না। যখনই ওকে দেখি, ও বলে সব সে উপভোগ করে। তার মানে ওর কাজের চাপ নেই। ও যদি মনে করে চাপ হচ্ছে, তাহলে ও বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করবে। তারপর এই সিদ্ধান্ত হবে। আমার মনে হয় ও কিপিং ভালোবাসে। যতোদিন পর্যন্ত সে উপভোগ করবে, সে করে যেতে পারে।’

আরটি/আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।