মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে লড়ছে বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০৬:৫৯ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

তৃতীয় ওভার সাকিবকে হারিয়ে লড়াইটা সারাদিন টিকে থাকার। তিন সেশনে ৯০ ওভার উইকেটে কাটাতে হবে। হাতে উইকেট সাতটি। এ সমীকরণ সামনে রেখে সকালে ১০/১২ মিনিটের মধ্যেই উইকেট হারিয়ে বসা। বাঁহাতি স্পিনার জাদেজার বলে আউট আশা ভরসার কেন্দ্রবিন্দু সাকিব। তার কিচ্ছুক্ষন পর অফস্পিনারকে লংঅফের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ আউট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম।

প্রথম ইনিংসে সমস্ত দায় দায়ত্তি কাঁধে নিয়ে অসিম সাহস, অবিচল আস্থা –মনোযোগ মনঃসংযোগের মিশেলে সংগ্রামী শতক হাঁকানো মুশফিক মাত্র ২০ রানে আউট হওয়ার পর মনে হচ্ছিল প্রতিরোধের দেওয়াল বুঝ ভেঙ্গে পড়বে। কারণ ও প্রান্তে তখন মাহমুদউল্লাহ। কিছুদিন ধরে যার ব্যাটে রান নেই। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মাহমুদউল্লাহ সেই নিউজিল্যান্ড সিরিজে এ সিরিজের প্রথম ইনিংস পর্যন্ত ভুগেছেন রান খরায়। সেই মাহমুদুল্লাহর দৃঢ়তায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেট ২৪৬ রান।

পঞ্চম দিনে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে সমর্থকদের হতাশ করে শুরুতেই বিদায় নেন সাকিব। রবীন্দ্র জাদেজার অনেকটা লাফিয়ে উঠা বল গ্লাভসে লেগে শর্ট লেগে সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করে তার ফেরা নিশ্চিত করেন চেতেশ্বর পুজারা। সাকিবের বিদায়ের পর সবাই তাকিয়ে ছিল মুশফিকের ব্যাটের দিকে। প্রথম ইনিংসে অসাধারণ ব্যাট করে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মুশফিক দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। অশ্বিনের বলে ছয় মারতে গিয়ে জাদেজাকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন টাইগার অধিনায়ক।

সাধারণত চতুর্থ দিনের শেষ দিকে ভারতীয় উইকেট ভেঙে যায়। প্রায় তাই হয়েছে আজ। আর এ কারণেই শেষ দিকে ব্যাটিং করার ঝুঁকি নেয়নি ভারত। ১৫৯ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে কোহলিরা। আর এতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৫৯। ওপেনিংয়ে নেমে তামিম টিকতে পেরেছিলেন মাত্র ১১ বল। অশ্বিনের বলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সারা না দিলে ক্যাচের আবেদনে রিভিউ নেন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলি। আর তাতে সফলও হন তিনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় প্যাডে লেগে কোহলির হাতে যাওয়ার আগে তামিমের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায়।
 
এরপর মুমিনুল হককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন সৌম্য সরকার। ৬০ রানের জুটিও গড়েছিলেন। তবে জাদেজার বলে স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন আজিঙ্কা রাহানে। আউট হওয়ার আগে ৪২ রান করেন সৌম্য সরকার। ৬৬ বল মোকাবেলা করে ৭টি চারের সাহায্যে এ ইনিংস খেলেন তিনি।

সৌম্যর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মুমিনুলও। সৌম্যর মতো প্রায় একই ঢংয়ে আউট হন তিনি। শুধু বদলেছে বোলার। জাদেজার বদলে অশ্বিন। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গেলে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় রাহানের হাতে। ৬৩ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২৭ রান করেন মুমিনুল।

braverdrink

এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বাংলাদেশ দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। দিনের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত আছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ইতোমধ্যে গড়েছেন ২৮ রানের জুটি। স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করে ২১ রানে অপরাজিত আছেন সাকিব। তার সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত আছেন ৯ রানে।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৫৯ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। অনেকটা টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করে তারা। যদিও শুরুতেই দুটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তাসকিন। তবে চেতশ্বর পুজারার ৫৪ ও অধিনায়ক কোহলির ৩৮ রানে ভর করে অল্প সময়েই বড় সংগ্রহ করে তারা। এছাড়া পাঁচ নম্বরে নেমে ২৮ রান করেন রাহানে। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব ও তাসকিন ২টি করে উইকেট পান।

এমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।