মিরাজের পর তাইজুলের বিদায়


প্রকাশিত: ০৫:০৭ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ফলোঅন এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো হল না বাংলাদেশের। মিরাজের পর বিদায় নিলেন তাইজুল ইসলাম। উমেশ যাদবের বাউন্সারে উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫৪ রান। ফলোঅন এড়াতে এখনো প্রয়োজন ১৩৪ রান।

চতুর্থ দিনের শুরুটা বাংলাদেশের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ন। ফলোঅন এড়াতে তখনো প্রয়োজন ১৬৬ রানের। তবে আগের দিন দুর্দান্ত খেলা মুশফিক-মিরাজের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। কিন্তু কোহলির নিজে রীতিমত দুর্দান্ত এক সিদ্ধান্ত। দিনের শুরুতেই বোলিংয়ে আনলেন এ ম্যাচে এখনো উইকেটের দেখা না পাওয়া ভুবনেশ্বকে। তাই অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন করলেন এই বোলার। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মিরাজকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন সাজঘরে।

এরপর মুশফিককে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাইজুল। তবে রানের খাতা দুই অঙ্ক নিয়েই খেয় হারিয়ে ফেলেন তাইজুল। উমেশ যাদবের বাউন্সারে বসে পড়লেও হাতে লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার হাতে। ফলে ৩৮ বলে ১০ রান করেই সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।  

এর আগে রোববার ১ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে দলের রান ৩ যোগ করতেই তামিম ইকবালকে হারায় তারা। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝির মাশুল দিয়ে রানআউটে কাটা পড়েন দেশসেরা এ ওপেনার। এরপর দ্রুত ফিরে যান টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হকও। ব্যক্তিগত ১২ রানে উমেশ যাদবের ভেতরে আসা বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান এই ব্যাটসম্যান।

মুমিনুলের বিদায়ের পর সাকিবের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়ে এলবিডব্লিউর শিকার হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ইশান্ত শর্মার ভেতরে আসা বলে পায়ে লাগলে আউট হন তিনি। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি। তবে তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। এরপর সাকিবকে সঙ্গ দিতে উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহীম। দেশসেরা এ দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ে ওয়েলিংটন টেস্টের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল।

স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। ১০৩ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে নিজের এ ইনিংস সাজান তিনি। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আরও একটি চার হাঁকাতে গিয়ে মিডঅনে যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। তবে এর আগে মুশফিকের সঙ্গে গড়েন ১০৭ রানের দারুণ এক জুটি।

braverdrink

সাকিবের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরে যান সাব্বিরও। ব্যক্তিগত ১৬ রানে জাদেজার বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস করলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে গড়েন ৮৭ রানের জুটি। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। ১০৩ বলে ৫১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন উঠতি এই তারকা। এ ইনিংস গড়তে ১০টি চারের মার মারেন তিনি। তবে এক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। ২০৬ বলে ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১২টি চারের সাহায্যে নিজের এ ইনিংস সাজান তিনি। 

এমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।