ফায়ার ব্রিগেড ও অতিরিক্ত পুলিশ চেয়ে ইসির চিঠি


প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ০১ এপ্রিল ২০১৫

চোরাগুপ্তা হামলার আশঙ্কায় ফায়ার ব্রিগেড ও অতিরিক্ত পুলিশ চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার সকালে ইসির উপসচিব ইসরাইল হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি ফায়ার সার্ভিস ও ডিএমপিতে পাঠানো হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভেল ডিফেন্স এর মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে পাঠানো চিঠিতে অতিরিক্ত পু্লিশ চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েকদফা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। কিন্তু কমিশনে সামান্য কয়েকজন পুলিশের মোতায়েন ছিল। এবারও একই রকম হামলার অশংকায় রয়েছে কমিশন। তাই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, এর আগের নির্বাচনে আমরা দেখেছি ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। এবারতো সিটি নির্বাচন। চাপটাতো ইসিতেই বেশি থাকবে। ইসিতেও এধরনের হামলার আশংকা রয়েছে। তাই আগে থেকেই ফায়ার ব্রিগেড মোতায়েন রাখা হবে।

নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব শামসুল আলম বলেন, নির্বাচনের সময় হামলার আশঙ্কাতো থাকেই। এবার যেহেতু ঢাকাকেন্দ্রিক নির্বাচন তাই কমিশনে হামলার আশঙ্কাতো আছেই। তাই ইসি নিরাপত্তা জোরদারের সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এর আগে তিন সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ (সিইসি) নির্বাচনের সময় চোরাগোপ্তা হামলা হতে পারে বলে আশংকার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা নিরাপদ কিনা এ বিষয়ে দফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন কমিশন।

এরই মধ্যে গত ১৬ মার্চ পুলিশের আইজি শহিদুল হক ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া হঠাৎ ইসিতে গিয়ে হাজির হন। ইসির সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। ফায়ার সার্ভিসের জন্য প্রস্তুত করা চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে কমিশন সচিবালয়ে অনেক দেশি বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিদেশি পর্যবেক্ষকসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের আগমন ঘটছে এবং ঘটবে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নিমিত্তে আগামী ২৮ এপ্রিল নির্বাচনের ফলাফলের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফায়ারম্যানসহ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট অত্র সচিবালয়ে প্রয়োজন।

এদিকে সচিবালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপির জন্য প্রস্তুত করা আরেকটি চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন। বিদ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটগ্রহণের দিন ও ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একজন পুলিশ অফিসারসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা প্রয়োজন।

এআরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।