আলাদা টেস্ট স্কোয়াড গঠনের কথা ভাবছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট
স্ট্যাটাস পাওয়ার ১৭ বছর পর ভারতে এই প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলতে আসলো বাংলাদেশ। রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচটি। ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই স্টেডিয়ামে বসে সাকিব-মুশফিকদের খেলা উপভোগ করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। তবে তৃতীয় দিন এসে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা পেলেন তার দেখা। মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের ব্যাস্ত ক্রিকেট সূচি দেখে বিসিবি প্রেসিডেন্ট জানালেন, আলাদা টেস্ট দল গঠন করার কথা।
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রসঙ্গ উঠতেই ভারতে বাংলাদেশের পরবর্তী কোনো সফর নিয়ে আলাপ হয়েছে কি না? বিসিবি প্রেসিডেন্ট জানালেন, ‘পরবর্তী কোনো সিরিজ নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলাপ হয়নি। আসলে এখানে বিসিসিআইয়ের কার সঙ্গে কথা বলবো? নতুন একজন এসেছেন তার সঙ্গে দেখা হয়নি। সে জন্য এটা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগও হয়নি। এমনতিই ফিউচার ট্যুর প্ল্যানে (এফটিপি) সবকিছুই বুকড। এ বছর তো আমাদের হাতে কোনো সময়ই নেই।’
ভারতের বিপক্ষে এই টেস্ট ম্যাচটি কেমন দেখছেন? জানতে চাইলে বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা সবাই জানে যত বেশি খেলবেন তত ভালো হবে। তিন ফরম্যাটের মধ্যে আমরা ওয়ানডেটা এখন মোটামুটি ভালো খেলি। টি-টোয়েন্টিতে অনেক পেছনে ছিলাম। এখন মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। টেস্টে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। স্বাভাবিকভাবেই যত বেশি খেলবো ততো উন্নতি করার সুযোগ থাকবে।’
হায়দরাবাদ টেস্টের পর বছরব্যাপী বাংলাদেশের ব্যস্ততার কথা উল্লেখ করে বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ভারত টেস্টের এক নম্বর দল। একে তো আমাদের অভিজ্ঞতা কম। তার মধ্যে ভারতে প্রথমবার এসে খেলছি। সব মিলিয়ে বিরাট একটা গ্যাপ আছে। আরেক সমস্যা হচ্ছে, সময়ের গ্যাপ খুঁজে পাওয়া কঠিন। নিউজিল্যান্ড থেকে খেলে এসেই আমরা চলে আসলাম ভারতে। এখান থেকে আবার চলে যাবো শ্রীলঙ্কায়। এরপর আয়ারল্যান্ড হয়ে খেলতে যাবো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ফিরে এসেন আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবো।’
পাকিস্তান সিরিজের পর বাংলাদেশের রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। এর মধ্যে আবার অস্ট্রেলিয়া সময় চাচ্ছে বিসিবির কাছে। এসব বিষয় জানিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া আমাদের সঙ্গে খেলার জন্য টাইম চাচ্ছে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। সারা বছর সময় বলতে কিছুই ফাঁকা নেই। ভিন্ন কিছু চিন্তা করারও সুযোগ নেই।’
একের পর এক সিরিজ, একের পর এক খেলা। এত চাপ ক্রিকেটাররা নিতে পারবে? বিকল্প কী ভাবছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট? তিনি বলেন, ‘একের পর একে খেলা। খেলোয়াড়দের বিশ্রাম বলে তো একটা কথা আছে। আমাদের তো সেকেন্ড দল নেই যে, তাদের দিয়ে খেলাবো। এজন্য আমাদের যা করতে হবে তা হলো, আমাদের টেস্টের জন্য ৪-৫ জন খেলোয়াড় আলাদা করতেই হবে। এছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। এফটিপিতে এখন অনেক খেলা। এই চাপ সামলে ইনজুরি মুক্ত হয়ে খেলাটা বেশ চাপের। ইচ্ছা করলে যে খেলা বাড়ানো যায় না, খেলোয়াড়দের কথাও তো চিন্তা করতে হয়।’
বিকল্প টেস্ট দল গঠন করার জন্য খেলোয়াড় কোথায়? বিসিবি সভাপতিই বা কী চিন্তা করছেন? ‘আমি মনে করি নতুন নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা করে নয়, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই সেটা করতে হবে। পাইপলাইনে আমাদের যথেষ্ট ভালো ক্রিকেটার রয়েছে। তাদের ভেতর থেকেই খেলোয়াড় বের করে আনতে হবে।’
আইএইচএস/এনইউ/জেআইএম