ব্যাটসম্যানদের এখন উইকেটে পড়ে থাকতে হবে


প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আজকে আমাদের উইকেট হারানোই উচিত ছিল না। সৌম্যর আউটটা খুবই দুঃখজনক। তবে আমাদের কালকে মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থাকতে হবে। আর এ দায়িত্বটা তামিম ইকবাল এবং মুমিনুল হককেই নিতে হবে। যে করেই হোক কালকের সারা দিন ব্যাটিং করতে হবে। ম্যাচ বাঁচাতে হলে ফলোঅন এড়ানো এখন খুবই জরুরি। সে লক্ষ্যেই খেলা উচিত।

সৌম্য থাকলে খুব ভালো হতো। সেক্ষেত্রে কাল ১০ উইকেট নিয়ে নামতে পারতো। তবে সেটা যখন হয়নি; তাই দায়িত্বটা অন্য ব্যাটসম্যানদের নিতে হবে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের সে সামর্থ্য আছে। তারা সেটা পারবে বলেও আমার বিশ্বাস।

তবে একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয়। উইকেট কিন্তু এখনই ভাঙতে শুরু করেছে। কাল হয়তো আরও ভাঙবে। কাল দুপুরের পর উইকেট হয়তো উল্টা পাল্টা আচরণ করতে পারে। তাহলে অশ্বিন ও জাদেজার বল মোকাবেলা করা একটু কঠিনই হবে।

আর একটা জিনিস দেখলাম- ভুবেনেশ্বর কুমার দুইবার উইকেটের ডেঞ্জারজোনে পা রেখেছে। যদিও তাকে আম্পায়ার সতর্ক করে দিয়েছে। তবে অভিজ্ঞ বোলার এমনটা কেন করলো। তবে এ থেকে ভারতের স্পিনাররা কিন্তু বাড়তি সুবিধা পাবে।

আর বল পুরনো হলে ওদের স্পিনাররা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। তবে আমাদের যেভাবে হোক উইকেটে টিকে থাকতে হবে। তামিমকে বেশ ওয়েলসেট মনে হয়েছে আজকে। আশা করি কাল ঠাণ্ডা মাথায় ও ব্যাটিং করবে। কালকে চা বিরতি পর্যন্ত যদি তামিম ও মুমিনুল ব্যাটিং করতে পারে তাহলে ফলোঅন এড়াতে সমস্যা হবে না।

তবে আমি ঠিক বুঝলাম না, সাকিবের মতো বোলার কাল মাত্র ৯ ওভার বল করেছে। ওয়ানডেতেই ও ১০ ওভার বল করে। আজকে পর্যন্ত ও মাত্র ২৪ ওভার বল করেছে। ও কিন্তু আমাদের প্রধান এবং কার্যকরী বোলার। হয়তো অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। আর পার্টটাইম বোলারদের মনে আমাদের আরেকটু বেশি ব্যবহার করা উচিত ছিল।

আমাদের বোলিং একটু অনভিজ্ঞ। বোলিং সে অর্থে খুব খারাপ হয়নি। এমন উইকেটে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। আমরা যদি ফিল্ডিংটা ভালো দিতে পারতাম; তাহলে হয়তো যে রান করেছে তার থেকে অনেক কমেই ওদের অলআউট করে ফেলতাম।

braverdrink
তবে তাইজুল ভালো বল করেছে। তিনটি উইকেট নিয়েছে। আর দ্বিতীয় নতুন বলটাও আমরা ব্যবহার করতে পারি নাই। ওরা বেশ বড় জুটি গড়ে ফেলেছে। সেখানে সাকিব -আমাদের মূল অভিজ্ঞ বোলারকেই কাজে লাগাতে পারি নাই।

বিরাট কোহলির কথা নতুন করে বোলার নেই। ও ওর মতোই খেলেছে। যেভাবে ব্যাটিং করছিল তাতে মনে হয়েছিল ওকে আউটই করা যাবে না। খুবই সুন্দর খেলেছে। টানা চারটা সিরিজে চারটা ডাবল সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্রিকেটের বিরল রেকর্ড।

ঋদ্ধিমান সাহাও ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে ওকে হয়তো আমরা শুরুতেই ফিরিয়ে দিতে পারতাম। আমি গত দুই দিনই বলেছি ওদের একটা জীবন দেওয়া মানে এক একটা সেঞ্চুরি। তা-ই কিন্তু হচ্ছে। আমাদের আরও ধারালো ফিল্ডিং করতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা আগামীকাল আমাদের সারাদিন উইকেটে থাকতেই হবে। ফলোঅন এড়াতে হবে। তামিম, মুমিনুল, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিককে একটু ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে হবে। সাব্বিরও টেস্টে নিজের কার্যকারিতা দেখিয়েছে। মিরাজও ব্যাট চালাতে পারে। সব মিলিয়ে আমি আশাবাদী।

আরটি/এনইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।