রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা ভারতের


প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রান আউট মিস আর হাফ চান্সকে কাজে না লাগানোর খেসারতে প্রথম দিনে ব্যাকফুটে থেকেই দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি। স্ট্যাম্পিং ও ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়ে রানের পাহাড়েই চাপা পড়েছে টাইগাররা।

তবে দিন শেষে সব ছাপিয়ে আলোচনায় বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরি। টানা চতুর্থ সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি করার বিরল কৃতিত্ব গড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। আর তাতে ভর করে রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। ৬ উইকেটে ৬৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে টিম ইন্ডিয়া।

শুক্রবার আগের দিনের ৩ উইকেটে ৩৫৬ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আজিঙ্কা রাহানে ও বিরাট কোহলির দারুণ ব্যাটিংই আজও শতরানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন তাইজুল।

তবে তাকে সাজঘরে ফেরানোর বড় অবদানটা ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। শর্ট কভারে ঝাঁপিয়ে পরে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন তিনি। তবে আউট হওয়ার আগে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন রাহানে। কোহলির সঙ্গে ২২২ রানের জুটি গড়েন তিনি।

braverdrink

তবে অপর প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে নিজের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে এ কীর্তি গড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। ২০৪ রান করে তাইজুলের বলে থামেন তিনি। মাত্র ২৪৬ বল মোকাবিলা করে ২৪টি চারের সাহায্যে সাজান নিজের এ ইনিংস।

কোহলির বিদায়ের পর রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে জুটি গড়েন ঋদ্ধিমান সাহা। ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। দলীয় ৫৬৯ রানে অশ্বিনকে ফেরান মিরাজ। এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন ঋদ্ধিমান; ১১৮* রানের।

মুশফিকের বদন্যতায় জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ঋদ্ধিমান। ১৪০ বলে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১৫৫ বল মোকাবেলা করে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে নিজের এ ইনিংসটি সাজান ঋদ্ধিমান। রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত ছিলেন ৬০ রানে। তার ৭৮ বলের ইনিংসটি সমৃদ্ধ চারটি চার ও দুটি ছক্কায়।   

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজ লাভ করেছেন দুটি উইকেট লাভ করেছেন। তাসকিন আহমেদকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় এক উইকেট নিয়েই।

আরটি/এনইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।