বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটা হায়দরাবাদের জন্যও ঐতিহাসিক

ইমাম হোসাইন সোহেল
ইমাম হোসাইন সোহেল ইমাম হোসাইন সোহেল
প্রকাশিত: ০৫:২৩ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহীম অ্যান্ড কোং মর্যাদা পাওয়ার প্রায় ১৭ বছর পর ভারতে প্রথমবারের মত আসলো টেস্ট খেলতে। এটা যেমন বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক, তেমনি ঐতিহাসিক হায়দরাবাদের জন্যও। রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম যে আজ ভিন্ন একটা কারণে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকছে! তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম যে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মাঠে!

ভারতের ২৯তম প্রদেশ হিসেবে তেলেঙ্গানা স্বীকৃতি লাভ করে তিন বছর আগে, ২০১৪ সালের ২ জুন। অন্ধ্র প্রদেশের ১০টি জেলা নিয়ে ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই ভারতের কংগ্রেসে সর্বসম্মতিক্রমে তেলেঙ্গানা স্টেটের বিল অনুমোদন লাভ করে। এরপর কয়েক ধাপ পেরিয়ে আবার ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে অন্ধ্র প্রদেশ রি-অর্গানাইজেশন অ্যাক্ট-২০১৪ পাশ করা হয় ভারতের পার্লামেন্টে। এরপর পুরোপুরি অন্ধ্র প্রদেশ ভাগ হয়ে একই বছর জুনে আলাদাভাবে পরিচিতি লাভ করে তেলেঙ্গানা স্টেট। ভারতের অন্যতম প্রাচীন শহর, হায়দরাবাদকে করা হয় রাজ্যের রাজধানী।

sohelতেলেঙ্গানা স্টেট হওয়ার আগে যে এখানে ক্রিকেট হতো না তা নয়। এখানকার ক্রিকেট ইতিহাস অনেক পুরনো। মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন, ভিভিএস লক্ষ্মণ, মনসুর আলি খান পাতৌদি, আব্বাস আলি বেগ, আরশাদ আইয়ুব, ভেঙ্কাপতি রাজু প্রমুখ ক্রিকেটার হায়দরাবাদ থেকে উঠে এসে পুরো ভারতকেই বিশ্বের বুকে পরিচিত করেছেন স্ব-মহিমায়। ২০০৩ সালে রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম হওয়ার আগে সিকান্দারাবাদের জিমখানা গ্রাউন্ড কিংবা লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতো ক্রিকেট ম্যাচগুলো।

২০০৩ সালে উপ্পালে নির্মাণ করা হয় রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এরপর থেকে হায়দরাবাদের হোম অব ক্রিকেটে পরিণত হয় এই স্টেডিয়ামটি। ২০১০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম টেস্ট। ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ওয়ানডে। এ নিয়ে রাজীব গান্ধীর মাঠে গড়িয়েছে মাত্র চারটি টেস্ট।

braverdrin

তবে ২০১৪ সালে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম রাজী গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মাঠ গড়ালো কোনো টেস্ট। সে হিসেবে তেলেঙ্গানা রাজ্যের ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনো টেস্ট। হায়দরাবাদের মানুষের কাছেও বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ম্যাচটি নিয়ে। যে কারণে সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছিল, দলে দলে দর্শক প্রবেশ করছিল গ্যালারিতে। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে কে না থাকতে চায়!

উপ্পালে আজ রচিত হলো দুটি ইতিহাস। এত বড় একটি সুযোগকে হাতছাড়া করতে চায় না বলেই টসের আগেই কয়েক হাজার দর্শক উপস্থিত হয়ে গেলো স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও দল বেধে উপস্থিত হয়েছে গ্যালারিতে, বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচটি দেখার জন্য।
 
আইএইচএস/এমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।