একনেকে ৬ প্রকল্প অনুমোদন


প্রকাশিত: ০৬:২৬ এএম, ৩১ মার্চ ২০১৫
ফাইল ছবি

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ব্যবস্থা উন্নয়নসহ ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে চারটি নতুন। অন্য দুটি সংশোধিত। ছয়টি প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৫২ হাজার ৭৭৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪০ হাজার ৪৮১ কোটি ৭৫ লাখ। সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সফিকুল আজম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরস্ত খানসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘শিল্পোদ্যোক্তদের চাহিদা পূরণে ভূমি অধিগ্রহণ ও শিল্প প্লট প্রস্ততকরণ, অধিগ্রহণ করা জমিতে মাটি ভরাট, রাস্তা নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ, বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন ইত্যাদি অবকাঠামোগত সুবিধা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তাদেরকে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প ইউনিট স্থাপনে সহায়তা প্রদান, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন এবং জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান বৃদ্ধিকরণ এবং কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।’

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ (ভেড়ামারা) ভারত (বহরমপুর) বিদ্যমান গ্রিড আন্তঃসংযোগের ক্ষমতা বর্ধিতকরণ (৫০০ মেগাওয়াট) প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৪০৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ত্রিপুরা (ভারত) কুমিল্লা (দ. উপকেন্দ্র) (বাংলাদেশ) গ্রিড আন্তঃসংযোগ প্রকল্প, এর ব্যয় ১৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বিসিক শিল্পনগরী, শ্রীমঙ্গল (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, এর ব্যয় ৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। রৌমারী-তুরা স্থলবন্দর সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। হেলথ পপুলেশন অ্যান্ড নিউট্রিশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (সংশোধিত) প্রকল্প, এর ব্যয় ৫১ হাজার ৮২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বাংলাদেশের নির্বাচিত এলাকায় কুচিয়া ও কাঁকড়া চাষ এবং গবেষণা প্রকল্প, এর ব্যয় ৩৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ (ভেড়ামারা) ভারত (বহরমপুর) বিদ্যমান গ্রিড আন্তঃসংযোগের ক্ষমতা বর্ধিতকরণ (৫০০ মেগাওয়াট) প্রকল্পের মূল উদ্দেশ হচ্ছে, বাংলাদেশ (ভেড়ামারা) ভারত (বহরমপুর) গ্রিড আন্তঃসংযোগের বিদ্যমান ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অতিরিক্ত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত হতে বাংলাদেশে আমদানি করা এবং উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা।

হেলথ, পপুলেশন অ্যান্ড নিউট্রিশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণের বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেবার অভিগম্যতা ও ব্যবহারের উন্নয়ন সাধন করা।

এসএ/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।