বাটের কথা শুনেই সাংবাদিককে বিদ্রুপ করলেন ইনজামাম


প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর গত বছরই ক্রিকেটে ফিরতে পেরেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার সালমান বাট এবং মোহাম্মদ আসিফ। তাদের প্রায় এক বছর আগেই ফিরেছিলেন আরেক নিষিদ্ধ ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির। যিনি ইতিমধ্যে জাতীয় দলেও ফিরে এসেছেন। সালমান বাট আর মোহাম্মদ আসিফ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন প্রায় বছর খানেকের কাছাকাছি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে ফেরার ইঙ্গিতও দিচ্ছেন তারা দু’জন। বিশেষ করে সালমান বাট।

এরই মধ্যে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল হককে পেয়ে এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করে বসলেন, সালমান বাটের জাতীয় দলে ফেরা প্রসঙ্গে। জবাবে সেই সাংবাদিককে বিদ্রুপই উপহার দিলেন পাকিস্তান জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। তবে, একই সঙ্গে জানিয়েও দিয়েছেন, পূর্ণ এক মৌসুম ঘরোয়া ক্রিকেট না খেললে কীভাবে তাকে জাতীয় দলের জন্য চিন্তা করতে পারি?

লাহোরে পাকিস্তান স্পোর্টস জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের অফিস পরিদর্শণে যান ইনজামাম-উল হক। সেখানেই এক সাংবাদিক বেশ পিছু নেয় ইনজামামের। তিনি উল্লেখ করেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে সালমান বাটের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যাঞ্জক। সুতরাং, এই পারফরম্যান্সের কারণে তিনি তো জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছেন।
 
ওই সাংবাদিকের ওই কথার জবাবে প্রথমে চুপ থাকেন ইনজি। এরপর তিনি ইনজামামের কাছে গিয়ে আবারও বললেন, ‘পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানও কিন্তু সালমান বাটকে জাতীয় দলে সিলেকশনের ব্যাপারে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে রেখেছে।’

এবার আর চুপ থাকতে পারলেন না ইনজামাম। তিনি কিছুটা বিদ্রুপ করেই কথা বললেন। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ইনজমামের বক্তব্য এভাবে উপস্থাপন করেছে, ‘আপনি অবশ্যই সঠিক। আপনি নিজেই তো প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিলেন। আমি আর কী দেবো?’ ইনজামামের এ কথা শুনে সাংবাদিকদের ওই রুমে হাসির রোল পড়ে যায়।

তবে তিনি পরক্ষণেই, এখই কেন সালমান বাটকে নেয়া হচ্ছে না সে কথা জানিয়ে দিলেন। তিনি সাঈদ আজমলের উদাহরণ টেনে এনে বলেন, ‘যখন আপনি পাঁচ বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকেন, তখন আপনি যদি জাতীয় দলে ফিরতে চান, তাহলে নিশ্চিত আপনাকে একটি মৌসুম ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে আসতে হবে।’

এরপর তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে সাঈদ আজমলের উদাহরণ দিতে পারি। যখন তিনি অ্যাকশন ঠিক করে ফিরে আসলেন এবং জাতীয় দলে নেয়া হলো, তখন দেখা গেলো তিনি নিজেই দলের জন্য বোঝা হয়ে গেছেন। আমি মনে করি, তার ফেরাটা হয়ে গেছে খুব দ্রুত। তাকে অবশ্যই অন্তত ৬ মাস ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে নিজেকে ঝালিয়ে আনা উচিৎ ছিল।’

২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরকালে স্পট ফিক্সিং করতে গিয়ে ধরা পড়েন সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ এবং মোহাম্মদ আমির। এরপর আইসিসি তাদের ওপর বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি আরোপ কররে। যা শেষ পর্যন্ত সমান ৫ বছরে নামিয়ে আনা হয়।

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।