মুশফিকের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা ভারতীয় গণমাধ্যমে


প্রকাশিত: ০৪:৩৯ এএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাত্রা ১৭ বছরের হলেও এবারই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ভারত সফরে গেল বাংলাদেশ দল। আর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম। তারা বোঝানোর চেষ্টা করেছে, মুশফিক তার বক্তব্যের মাধ্যমে ভারতকে অপমান করেছেন!

ভারত সফরে দলের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে মুশফিক বলেন, ` জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামলে যে রকম চাপ থাকে ভারতের বিপক্ষে খেলতে তেমন চাপ থাকবে না। কারণ আমরা যদি জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হারি, তার চেয়ে বড় লজ্জার আর কিছু হবে না। আর জিতলে কোনো কৃতিত্ব থাকবে না। পক্ষান্তরে ভারত এমন এক দল, যাদের বিপক্ষে আমাদের হারানোর কিছু নেই। যদিও তারা এক নম্বর দল, তারপরও আমরা এটা বলছি না যে, সেখানে যাবো আর হেরে যাবো। আমার মনে হয়, পাঁচ বছর আগের চেয়ে এখন আমাদের ভারতে ভালো খেলার সুযোগ বেশি। আমাদের এই দলটা ভারতকে গিয়ে কেমন করতে পারে, সেটা বিশ্ব ক্রিকেটকে জানানোর ইচ্ছা আছে। সে দিক থেকে বলবো যে আমরা ম্যাচটি নিয়ে রোমাঞ্চিত। কিন্তু একটাই টেস্ট, ১৭ বছর পর খেলা; এ ধরনের কোনো চিন্তা আমার মাথায় কখনো আসেনি। এটা সাধারণ একটা টেস্ট ম্যাচ। এখানে আমরা এমন পারফর্ম করতে চাই, যাতে ভারত আমাদের বারবার আমন্ত্রণ জানায়।”

mushfik

কিন্তু বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের এ মন্তব্যের সঠিক ব্যাখ্যা দেয়নি ভারতীয় গণমাধ্যম। ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’তে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হারের পরও ভারতের মাটিতে একমাত্র টেস্টের গুরুত্ব বোঝাতে মুশফিক এ ম্যাচকে ‘ঐতিহাসিক’ বলতে রাজি নন। তার কাছে এ টেস্টের গুরুত্ব অন্যসব টেস্টের মতোই। অথচ টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির পর এই প্রথম ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। দৈনিক ‘ডেকান ক্রনিকল’ খবরের শিরোনাম করে ‘ভারতের বিপক্ষে টেস্টকে ঐতিহাসিক বলে মনে করি না: মুশফিক।’

তবে ভারতীয় মিডিয়ায় এমনটা নতুন নয়। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়লাভ করলে মুশফিকের ক্যারিবিয়ানদের অভিনন্দন জানানো নিয়ে আপত্তিকর অবস্থান নিয়েছিল বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম।

এমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।