ঢালিউডে রাজত্ব করতে চাই : মারিয়া
বাবা আর্মিতে চাকরি করেন। সেই সুবাদে বড় হয়েছেন ক্যান্টনমেন্টের সুশৃঙ্খল পরিবেশে। অনেক স্বপ্নই ছোটবেলা থেকে সঙ্গী হয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত নায়িকা হবার ইচ্ছেটা এভাবে বাস্তবায়ন হবে ভাবেন নি। তাও কিনা সোহানুর রহমান সোহানের মতো পরিচালকের হাত ধরে। নিজের এই ভাগ্যকে নিজেই হিংসা করছেন সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা মারিয়া।
দেশের জনপ্রিয় পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অবলা নারী-ওয়াও বেবি ওয়াও’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগতা এই নায়িকা। মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত অ্যাকশন ও রোমিন্টক ধর্মী চলচ্চিত্রটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আরেক নবাগত নায়ক তুর্কী ইমরান।
পুরো নাম মারিয়া চৌধুরী। ঢাকাতে বড় হলেও গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। আর্মি বাবা আর গৃহিনী মায়ের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। বড় ভাই পড়াশোনা করছেন একটি বেসরকারী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। মারিয়া নিজে পড়ছেন উচ্চ মাধ্যমিকে।
তার বয়স, অভিনয়ের ধরন ও চেহারা দেখে অনেকেই বলছেন সোহানুর রহমান সোহান বুঝি নতুন মৌসুমী উপহার দিতে যাচ্ছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে। বলাবাহুল্য, ১৯৯৩ সালে সালমান শাহ’র বিপরীতে সোহানুর রহমান সোহান মৌসুমীকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন। সেইসময়ের মৌসুমী ছিলেন সদ্য কিশোরী। অভিনয়গুণে তিনি আজ এ দেশের প্রথম সারির একজন চিত্রাভিনেত্রী।
তেমনি করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছেন মারিয়া। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক ভাগ্যবান সোহান স্যারের মতো পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেছি। ছবিতে আমার চরিত্রটি আমি অনেক উপভোগ করে অভিনয় করছি।
আমার অভিনয় দেখে ইউনিটের সবাই অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। এবার দর্শকদের রায় দেবার পালা। তারা যদি আমার ছবিটাকে গ্রহণ করেন তবেই আমি সফল হতে পারবো।’
মিথুন রাশির মেয়ে মারিয়া জানালেন, মার্চের ১৬ তারিখ থেকে কক্সবাজারে শুটিং শুরু হওয়া ‘অবলা নারী-ওয়াও বেবি ওয়াও’ চলচ্চিত্রে প্রতিবাদী নারীর চরিত্রে অভিনয় করতে তাকে। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমি সাধারণ একজন নারী চরিত্রে অভিনয় করলেও ধীরে ধীরে দর্শক আমাকে প্রতিবাদী নারীর চরিত্রে দেখতে পাবে।
বাস্তব জীবনে খুব একটা সাহসী না হলেও ছবিতে অ্যাকশান দৃশ্যে অংশ নিয়েছি। দারুণ অভিজ্ঞতা।’
অভিনয়ে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মারিয়া বললেন, ‘কবরী, শাবানা মৌসুমী আর শাবনূর আপাদের মতো আমিও ঢালিউডের রানী হতে চাই। রাজত্ব করতে চাই। অভিনয় দিয়ে চিরকাল বেঁচে থাকতে মানুষের অন্তরে। এরইমধ্যে বেশ ক’জন নির্মাতা এবং প্রযোজক আমাকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমি দেখেশুনে এগুতে চাই।’
নিজের পছন্দের অভিনেতা সম্পর্কে মারিয়া বলেন, রাজ্জাক, আলমগীর, সালমান শাহ ও রিয়াজের অভিনয় তাকে মুগ্ধ করে রেখেছে।
মারিয়া চৌধুরী জানালেন, ছবিটির প্রায় অর্ধেকেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে চলছে ছবির গানের শুটিং। ১ টি আইটেম গান সহ মোট ৬ টি গান আছে চলচ্চিত্রটিতে। কক্সবাজারের পালা চুকিয়ে মে’র প্রথম সপ্তাহেই ঢাকায় ফিরবে অবলা নারী-ওয়াও বেবি ওয়াও ছবির টিম।
এলএ/আরআই