ফেসবুকের নয়া যোদ্ধা ইন্টারনেট ড্রোন


প্রকাশিত: ০৫:০৬ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৫

জুপিটারের অস্ত্র স্কাইওয়ার্ড নিয়ে উড়ে বেড়াত অ্যাকুলিয়া নামের এক ঈগল। এবার ওই একই কোড নামে একটি হাইফ্লাইং ড্রোন নিয়ে এল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক। জুকারবার্গের কোম্পানির উচ্চাভিলাষের আধুনিকতম নিদর্শন এই ড্রোন।

ভি আকৃতির এই ড্রোনটির অফিসিয়াল নাম এখনো ঠিক হয়নি। ড্রোনটির উইংস্প্যান বোয়িং ৭৬৭ বিমানের সমান, যদিও ওজন একটা পুঁচকে গাড়ির থেকেও কম। সারা পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ফেসবুক ইউসার সংখ্যা ১৪০ কোটি। যে ৫০০ কোটি মানুষের মধ্যে এখনো পৌঁছাতে পারেনি ফেসবুক তাদের সঙ্গেই সংযুক্ত হতে এই ড্রোনের পরিকল্পনা করেছে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট।

সৌরচালিত এই ড্রোনগুলি আসলে ইন্টারনেট অ্যাকসেস আরও সহজতর করে তুলবে বলে অনুমান। কিন্তু, এ ক্ষেত্রেও ফেসবুকের কাজটা বেশ কঠিন। ইতোমধ্যেই একই উদ্দেশ্যে হাই-অলটিটিউড বেলুন ও হাই স্পিড ফাইবার নেটওয়ার্ক রয়েছে গুগলের।

অ্যামাজনও পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করে দিয়েছে ড্রোনের ব্যবহার। শুরু করেছে কোলোসাল ডেটা সেন্টারও। তাই এই নয়া প্রজেক্টে ফেসবুক কতটা সাফল্যপাবে রয়ে যাচ্ছে সে প্রশ্নও। এই সবকটি অফবিট প্রযুক্তি হয় আকাশ্চুম্বী সাফল্য পাবে, কিন্তু লক্ষ্য পূরণ না হলে সব কটারই অচিরে সলিল সমাধি হবে।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এড লাজোওস্কার বলেন, অ্যামাজন, গুগল এবং ফেসবুক যে পথে এগোচ্ছে তাতে হয়ত খুব দ্রুত বদলে যাবে আমাদের জীবনযাত্রাটাই।

স্যান ফ্রান্সিসকোর একটি সম্মেলনে ফেসবুকের শ্রষ্টা মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন তাদের মোবাইল মেসেজিং অ্যাপ মেসেঞ্জারের কোড অন্যদের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। যার ফলে ফেসবুক যা করছে চাইলে অন্যরাও সেই পথে হাঁটতে পারে।  

ইতোমধ্যেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার নয়া জগত তৈরি করতে শুরু করেছে গুগল। ফেসবুকের লক্ষ্য সেই জগতেই নিজের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করা।

বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।