জয় দিয়েই ইতি টানলেন জয়াবর্ধানে
কলম্বোয় পাকিস্তানকে হারিয়ে যখন শেষবার ক্রিকেটার হিসাবে মাঠ ছাড়ছেন জয়বর্ধনে, তখন শ্রীলঙ্কানদের চোখে জল। পাকিস্তানকে ১০৫ রানে হারিয়ে ২-০ সিরিজ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা, একটা ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে নজির গড়লেন হেরাথ। সব চাপা পড়ে গেল মাহেলা বিদায় বিসাদের সুরে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সপ্তম সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান ক্রিকেটের এই কিংবদন্তির বিদায়টা অনেকটা নিঃশব্দেই হয়ে গেল।
খেলা শুরু হওয়ার এক ঘন্টা পরেই আনন্দ উৎসব শুরু করে দিল পুরো স্টেডিয়াম। এই গ্রেট ক্রিকেটারকে সংবর্ধনা দিতে এদিন মাঠে ছিলেন তার পরিবার থেকে শুরু করে বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা। এমনকি তাকে বিদায় জানাতে স্বয়ং দেশের প্রেসিডেন্ট মাহেন্দ্র রাজাপাকসেও মাঠে ছিলেন।
শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৭০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৬৫ রানেই শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। ১০৫ রানে হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে হোয়াইট ওয়াশও হলো তারা। চতুর্থ দিনে সাত উইকেটে ১২৭ রানে শেষ করা পাকিস্তান এদিন আরও ৩৮ রান যোগ করতে পারে। জুনায়েদ খান অবশ্য ইনজুরির কারনে ব্যাটিংয়ে আসেননি।
শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়ের পরের বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল মাহেলার। সেই দিন থেকেই দেশের স্তম্ভ হয়ে যান। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ক্রিকেট বিশ্বে এই যে সমীহ আদায় করেছে তার সিংহভাগই তাঁর প্রাপ্য। জীবনের শেষ ইনিংসে জয়বর্ধনে করেন ৫৪ রান।
স্কোর: শ্রীলঙ্কা: ৩২০ ও ২৮২
পাকিস্তান: ৩৩২ ও ১৬৫/৯
ফল: শ্রীলঙ্কা জয়ী ১০৫ রানে।