টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ফাইনালে দুই আয়োজক


প্রকাশিত: ০২:০৪ পিএম, ২৬ মার্চ ২০১৫

বাংলাদেশের বিপক্ষে বিতর্কিত ম্যাচে জয় পেয়ে সেমিফাইনালে পা রাখলেও অস্ট্রেলিয়া কাছে করুণ পরাজয় বরণ করে ভারত। আর অস্ট্রেলিয়ার এ জয়ের ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রিকেট বিশ্ব পেল দুই আয়োজক দেশকে। বিশ্বকাপের এগারতম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে চলতি টুর্নামেন্টের দুই আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের সাথে গত বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিলো ভারত ও শ্রীলংকা। আর ঐ আসরে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত ও শ্রীলংকা।

১৯৭৫ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করে ইংল্যান্ড ও ওয়ালস। তবে ১৯৮৭ সালে প্রথমবারের মত যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়। ভারত ও পাকিস্তান যৌথভাবে বিশ্বকাপের চতুর্থ এ আসর আয়োজন করে। কিন্তু ঐ আসরের ফাইনাল খেলে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। পরের আসর ১৯৯২ বিশ্বকাপও আয়োজন করে দুই দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সেবারও ব্যর্থ হয় দুই আয়োজক দেশ। ফাইনাল খেলে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড।

এরপর ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করে তিনটি দেশ। ভারত, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলংকা ফাইনালে খেললেও, অন্য দুই আয়োজক ভারত ও পাকিস্তান শিরোপা লড়াইয়ে নামই লেখাতে পারেনি।

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপও আয়োজিত হয় যৌথভাবে। ইংল্যান্ড, ওয়ালস, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। কিন্তু ঐ আসরের ফাইনালে লড়ে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান।

২০০৩ সালে বিশ্বকাপের অষ্টম আসর যৌথভাবে পরিচালনা করে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। কিন্তু এবারও ফাইনালের টিকেট পায়নি যৌথ আয়োজকদের কেউ। ফাইনালে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।
পাঁচ আসর পর ২০০৭ সালে আবারো বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করা হয়। সেবার স্বাগতিক হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২০১১ সালে আবারো বিশ্বকাপ পায় যৌথ আয়োজক দেশ। ভারত, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ মিলে আয়োজন করে বিশ্বকাপের দশম আসর। সেই আসরে ফাইনালে মাঠে নামে ভারত ও শ্রীলংকা। আর এবার বিশ্বকাপে স্বাগতিক হয় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। গতবারের মত এবারও বিশ্বকাপের ফাইনাল পেল দুই আয়োজক দেশকে। আগামী ২৯ মার্চ মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।

আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।