পিএসএল না খেলে ওমরা করতে যাবেন মঈন
ইনজুরির কারলে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলতে পারবেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা কার্লোস ব্রাফেট। তার পরিবর্তে একদিন আগেই কোয়েটা দলভুক্ত করে নেয়ার ঘোষণা দেয় ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলিকে; কিন্তু একদিন পরই মঈন আলির পক্ষ থেকে ‘না’ সূচক জবাব পেয়ে গেলো কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
পরিবারের সঙ্গে ওমরা করতে পবিত্র মক্কা নগরীতে যাবেন মঈন। এ কারণে, তিনি পিএসএলে তার ফ্রাঞ্চাইজিকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি। কোয়েটাও স্বানন্দে মেনে নিয়েছে মঈন আলির সিদ্ধান্ত। পরিবর্তে আজই তারা নাম ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ব্র্যাড হজের। গত আসরে হজ খেলেছিলেন পেশোয়ার জালমির হয়ে।
৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দুবাইতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে পাকিস্তানের ফ্রাঞ্চাইজি লিগটির। তার আগেই বিদেশি ক্রিকেটার হারাতে শুরু করেছে পিএসএল। কারও ইনজুরি আর কারও জাতীয় দলের ব্যস্ততা। বাংলাদেশের সাকিব-তামিমের খেলার কথা পেশোয়ার জালমিতে; কিন্তু জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে তারাও পিএসএলের শুরুতে খেলতে পারবেন না।
বিদেশি ক্রিকেটার যাদের পাওয়া যাবে না, তাদের পরিবর্তে নতুন নাম একদিন আগেই ঘোষণা করেছিল পিএসএল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সে সুযোগ পেয়েছিলেন প্রথম নিলামে বাদ যাওয়া মঈন আলি। তবে, তিনি যে খেলতে পারবেন না, সেটা দ্রুতই জানিয়ে দেন কোয়েটাকে। এ কারণে পরিবর্তিত বাছাই করতেও দেরি করলো না কোয়েটা।
এক টুইটার বার্তায় তারা জানিয়েছে, ‘মঈন আলি একজন উুঁচুমানের ক্রিকেটার এবং একজন অসাধারণ ব্যাক্তিত্বও। পরিবারের সঙ্গে ওমরা করতে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, আমরা তাকে সম্মান জানাই। কারণ, সবকিছুর চেয়ে পরিবারই আগে। ভালো থাকবেন মঈন।’
ফ্রাঞ্জাইজি লিগকে না করে দেয়া মঈন আলির এবারই প্রথম নয়। এর আগেও গত বছর আইপিএল নিলামের আগে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। কারণ, তখন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস (ইসিবি) ক্রিকেট বোর্ড মঈনকে বলেছিলো, অতিরিক্ত লোড নিয়ে নিচ্ছেন তিনি। ইসিবির এই সতর্ক বার্তার পর মঈন নিজেকে আইপিএল থেকে সরিয়ে নেন।
২০১৬ সালে মঈন আলি তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ৪১টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ১৭টি খেলেছেন টেস্ট ম্যাচই। ২০১৭ সালেও অনেক বেশি ব্যস্ততা যাবে তার ওপর দিয়ে। কারণ, এমনিতেই ইংল্যান্ড আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রয়েছে তিন ফরম্যাটেরই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। এরই মধ্যে অক্টোবরে রয়েছে অ্যাশেজ সফর।
নিষ্ঠাবান মুসলিম মঈন সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে মক্কায় গিয়ে ওমরা পালন করেন। এরপর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে নিজেকে পরিণত করেন তিনি। মঈন আলি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এরপর (ওমরাহ করে আসার পর) যখন ফিরবো, তখন পুরোপুরি ফ্রেশ হয়ে যাবো।’
আইএইচএস/জেআইএম