ফিটনেসের জন্য প্রিয় খাবারই বাদ দিলেন কোহলি!


প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

বিরাট কোহলির ফিটনেস কেমন? ব্যাট হাতে তার শটগুলো দেখলেই বোঝা যায়, আসলে কতটা ফিটনেসের অধিকারী ভারতীয় অধিনায়ক। তার ফিটনেস নিয়ে ইতিমধ্যে গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে তার ফিটনেস নিয়ে। অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচের চেয়ে ভালো ফিটনেস বিরাট কোহলির।

এই যেমন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ৩৫০ রান তাড়া করতে গিয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। তার ম্যাচজয়ী ইনিংসের পথে এমন একটি ছক্কার মার ছিল, যেটার ভিডিও ইতমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। সবার মুখে একটাই কথা, কোহলির কব্জিতে কতটা জোর থাকলে এমন শট খেলা সম্ভব?

ফিটনেস ধরে রাখতে নিজের প্রিয় খাবার পর্যন্ত মেন্যু থেকে বাদ দিয়েছেন কোহলি। তার ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা জানিয়েছেন কোহলি তার সবচেয়ে প্রিয় খাবার ছেড়ে দিয়েছেন। মেনু থেকেই বাদ দিয়ে দিয়েছেন বাটার চিকেন আর মাটন রোল।

এর পিছনে অবশ্য কারণ অন্য। বিরাটের কোচ বলেন, ‘কোহালি এক সময় আমাকে বলেছিল, আমি যদি অধিনায়ক হিসেবে একটা লক্ষ্যমাত্রা স্থির না করি তা হলে কে করবে? আমি জানি এই সফল ক্রিকেটারের পিছনের ছেলেটিকে। ও পাগলের মতো বাটার চিকেন, রোল এমন কী সব ধরণের ফাস্ট ফুড খেতে ভালবাসত; কিন্তু আজ কোনওটাই ও স্পর্শও করে না।’

আগে একাধিকবার বিরাট তার ডায়েট নিয়ে মুখ খুলেছেন। কখনও প্যাকেট জুস খান না বিরাট। ফ্রেশ ফ্রুট জুস হলে তবেই খান। রাজকুমার বলেন, ‘এটা অল্প সময়ের জন্য মেনে চলা সহজ; কিন্তু ও যেভাবে খেলার জন্য লাইফ স্টাইলটাই বদলে ফেলেছে সেটা দেখে আমি কোচ হিসেবে গর্বিত। এই বয়সে ও যে ত্যাগ করেছে যেটা আমি কখনও পারিনি।’

বিরাট অবশ্য গ্রিলড অথবা সেদ্ধ খাবারই বেশি পছন্দ করেন এখন। তবে বাটার চিকেন, মাটন রোল বাদ দেয়ার কারণ হল, রানিং বিটুইন দ্য উইকেটের দ্রুততা বাড়ানো। এটাও যে সম্ভব সেটা দেখিয়েছেন বিরাট কোহালি।

তবে এই পরিবর্তনের পিছনে তিনি তার ট্রেনারদেরও কৃতিত্ব দিয়েছেন। বলেন, ‘আমি যদি পুরো ক্রেডিট নিজে নেই তা হলে মিথ্যে কথা বলা হবে। হ্যাঁ, আমি ওকে পরামর্শ দিয়েছি ও কীভাবে নিজেকে তৈরি রাখবে। পাশাপাশি ওর ট্রেনারদেরও কৃতিত্ব রয়েছে এর পিছনে। যেটা ওকে শারীরিকভাবে ফিট রাখে। যার প্রভাব সরাসরি পড়ে খেলায়।’

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।