ক্রাইস্টচার্চে রোদের কড়া ঝাঁঝ!


প্রকাশিত: ০৪:১১ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

ওয়েলিংটন বিমানবন্দরে নামার মিনিট পাঁচেক পরই এক প্রবাসী বাঙালির কাছ থেকে জানা হলো, ক্রাইস্টচার্চের আবহাওয়া এখন খানিক ভিন্ন। ভিন্ন মানে? যতগুলো শহরে খেলা হয়েছে, তার একটার সাথেও বর্তমান ক্রাইস্টচার্চের আবহাওয়ার তেমন মিল নেই।

Babuনেলসন, নেপিয়ার, মাউন্ট মঙ্গানুই এবং ওয়েলিংটনের তুলনায় তাপমাত্রা বেশি। শুধু তাই নয়। রোদের ঝাঁঝও বেশি। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামার আগে হ্যাগলি ওভালের আশপাশে হেঁটে টের পাওয়া গেল রোদের ঝাঁঝ। বাংলাদেশে কার্তিক মাসের আবহাওয়ার কথা ভাবুন।

একটু ভেজা ভেজা বাতাস। খানিক শীতল আবহাওয়া। কিন্তু মেঘমুক্ত নীল আকাশ। আর ঝাঁঝাঁলো রোদ। একদম মুখে গিয়ে লাগে। ক্রাইস্ট চার্চেও ঠিক তাই। তাপমাত্রাও নেলসন, নেপিয়ার, মাউন্ট মঙ্গানুই এবং ওয়েলিংটনের চেয়ে অন্তত ৪/৫ সেলসিয়াস বেশি; ২৫ সেলসিয়াস।

একদম মেঘমুক্ত নীল আকাশ। এক চিলতে মেঘের অস্তিত্ব নেই। ওয়েলিংটনের সেই ‘পাগলা হাওয়াও’ নেই। বাতাস বইছে। ওয়েলিংটনের মতো অত জোরে নয়। আবার বাংলাদেশে যে শীতকালে মৃদু বাতাস বয়, তত আস্তেও না। নিউজিল্যান্ডের মতোই।
 
তারপরও অন্যান্য শহরের তুলনায় ক্রাইস্টচার্চের বর্তমান আবহাওয়া অনেকটাই বাংলাদেশের মতো। ঠাণ্ডা। বাতাস ও রোদ-সব কিছুই সহনীয়। ক্রাইস্টচার্চেও ঠিক তা-ই। সকাল থেকে বেলা গড়ানোর সাথে সাথে রোদের ঝাঁঝ বাড়তে থাকে।

braverdrink
 
সূর্য্য মাথার ওপরে আসতেই রোদের কড়া তেজে খোলা আকাশের নীচে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা কষ্ট। নিউজিল্যান্ডের অন্য শহরের সাথে এখানেই মূল পার্থক্য ক্রাইস্টচার্চের। ওয়েলিংটন-মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে যখন রোদ উঠে তখন বেশ ভালোভাবেই সূর্য কিরণ পাওয়া যায়। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চের মতো কড়া তেজ নেই কোথাও।

এনইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।