টাইগারদের ৩০০তম ম্যাচ আজ
মাইলফলকের ম্যাচে বিজয় বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ভারতকে সামনে পেলে ভারত বধই টাইগারদের নিয়ম। নিজেদের শততম ওয়ানডে ম্যাচে ঢাকার মাঠে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত বধ করেছিল ভারতকে। ১৫ রানের জয়ে বাংলাদেশ জানান দিয়েছিল, প্রতিবেশীদের আর একবিন্দুও ছাড় দিতে রাজি নয়। সেই ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারতকে বধ করে `ধরে দেয়া` শুরু করেন মাশরাফি। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩১ ও বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন মাশরাফি।
এরপর এলো ১৫০তম ম্যাচ। সুদূর পোর্ট অব স্পেনে খেলা। তাও আবার বিশ্বকাপের ম্যাচ। প্রতিপক্ষ টেন্ডুলকার, শেবাগ, গাঙ্গুলি, দ্রাবিড়ের মতো মহাতারকাদের ভারত। হাঁক-ডাকে তারা বিশ্বকাপ জিতবেই। কিন্তু, মনে মনে তখন মাশরাফি বলছেন `ধরে দিবানি`। সেদিন পোর্ট অব স্পেনে মাশরাফি ঠিকই `ধরে দিয়েছিলেন` ভারতকে। টাইগাররা দেশকে এনে দিয়েছিল পাঁচ উইকেটের জয়। বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে মাশরাফি হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। ওই এক পরাজয়ে তারকাঠাসা ভারতদল ২০০৭ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে যায়।
এরপর এলো ২০০তম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই ২০০তম ম্যাচ বাংলাদেশ উদযাপন করেছিল বিদেশের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আনন্দ। ডমিনিকা সেবার কেঁপেছিলো বাঘের গর্জনে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ জিতে আসে ৩-০ ব্যবধানে। সেবার অবশ্য ইনজুরির কারণে দলে ছিলেন না মাশরাফি।
২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের ম্যাচটি টাইগারদের ৩০০তম ওয়ানডে ম্যাচ। প্রতিপক্ষ সেই ভারত। প্রথম দুই মাইলফলক ম্যাচে জয়ের নায়ক মাশরাফি এবার `ক্যাপ্টেন টাইগার`। মুখে বলছেন না বটে, কিন্তু ১৬ কোটি বাংলাদেশি জানে ভারতকে ঘিরে এবারও তার প্রত্যয়, `ধরে দিবানি`।
এআরএস/আরআইপি