‘হাত ভেঙেও যদি দল জিততে পারতো!’


প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৭

টিম হোটেলের লবিতে ফিজিশিয়ান ব্যথার ট্যাবলেট দিলেন। সেই পেইন কিলারে ব্যথার অনুভব কমেনি, কমেছে নাকি অন্য কারণে। মাশরাফির ভাষায়, ‘আসলে বল লাগার পর ওই জায়গা প্রায় অবশের মতো হয়ে আছে। তাই ব্যথার সত্যিকার তীব্রতা বোঝা যাচ্ছে না।’

Babuকব্জির ওপরের অংশ ফ্র্যাকচার হবার পরও তিনি সত্যিকার ব্যাথার তীব্রতা অনুভব করতে পারেননি। তবে মাশরাফি বিন মর্তুজার মনের ভিতরের ব্যাথার তীব্রতা কিন্তু আরও অনেক বেশি। যার কাছে দল ও দেশ সব সময়ই বড়। অনেক বড়।

তাই তো হোটেল লবিতে দেশের সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে বলে ওঠেন, ‘ইস হাত ফ্র্যাকচার হয়েছে, হোক। দল যদি জিততো, তাহলে তো আর কোনই দুঃখ ও আফসোস থাকতো না। হাসিমুখে সেই ফ্র্যাকচারের দুঃখ ভুলে যেতাম; কিন্তু তা আর হলো কই?’

পুরো সিরিজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তিন ম্যাচের ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয়ের পথ খুঁজে পেয়েছি কয়েকবারই। সেই পথে হেঁটে কিছুদুর গিয়েছিও; কিন্তু লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানো সম্ভব হলো না। এটাই আফসোস। ফ্র্যাকচার নিয়ে মাথা ঘামাই না। আর আশা করছি, মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে ইনশা আল্লাহ সুস্থ্য হয়ে উঠবো। শ্রীলঙ্কা সফরের প্রথমে তো টেস্ট। তারপর ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি। আল্লাহ সহায় থাকলে তার আগেই সুস্থ্য হয়ে উঠবো। কাজেই ফ্র্যাকচার নিয়ে খুব বেশি দুঃখ এবং আফসোস নেই আমার। এখানে আসার পর আশা পুরণ হলো না। সেই না পাওয়াটাই পোড়াচ্ছে।’

কি আশা? মাশরাফির সোজা কথা, ‘অন্তত একটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতার আশা ছিল। বিশ্বাস করেন, আমি এখনো মনে করি অন্তত একটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি জিততে পররতাম আমরা। জেতা উচিতও ছিল। আফসোস, তা পারলাম না। তাহলে আর এত খারাপ লাগত না। যতটা খারাপ এখন লাগছে।’

braverdrink
সব সময় দল ও দেশকে অনেক বড় করে দেখা মাশরাফি মূল আক্ষেপ সেটাই। ফ্র্যাকচার তাকে খুব একটা দমাতে পারেনি। তা নিয়ে তেমন মাথা ব্যথা এবং চিন্তাও নেই; কিন্তু ঘুরে ফিরে দলের পারফরমেন্স ও পরিনতির কথাই ভেসে উঠছে চোখের সামনে। পুরো সিরিজের চালচিত্র মনের আয়নায় ফুটে উঠছে বারবার।

তার কথা, ৬-০ দেখতে আর শুনতে কার ভালো লাগে বলুন? আমারও ভিতরে পোড়াচ্ছে। দুঃখবোধ হচ্ছে। যন্ত্রনা কাঁটা হয়ে বিধছে ভেতওে ভেতওে; কিন্তু একটি ওয়ানডে আর একটি টি-টোয়েন্টি আমরা মনে হয় জিততে পারতাম। সে সুযোগ ও সম্ভাবনাও কিন্তু ছিল। তবে তা কাজে লাগিয়ে সাফল্যের বন্দরে পৌঁছাতে পারলাম না। এটাই আফসোস। দুঃখটা সেখানেই।’

এআরবি/আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।