শিশুশ্রমে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়


প্রকাশিত: ০৪:১১ এএম, ১৭ মার্চ ২০১৫

জীবন ধারণের জন্য বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুরা ব্যবহার হচ্ছে কারিগর হিসেবে। দিনদিন এর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৮০ লাখের কাছাকাছি। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমান সরকার শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য নানা প্রকল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, শিশুশ্রমের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়। যেখানে প্রায় তিনশ` ধরনের কাজে জড়িত প্রায় ৭৯ লাখ শিশু। এর মধ্যে ৪১ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত থাকা শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। উল্লেখ্য, শিশুশ্রমের দিক থেকে সারাবিশ্বে ভারত প্রথম।

দেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাজে নিয়োগকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান থাকলেও নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। বরং কাজ দিয়ে শিশুদেরই উপকার করছেন বলে দাবী মালিকদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র স্বল্প পারিশ্রমিক ও সহজলভ্য হওয়ার কারণেই শিশুদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন মালিকরা। তবে ইতোমধ্যে ৪২ হাজার শিশুকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে দাবি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের।

শিশুশ্রম বিশেষজ্ঞ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, `যাদের রুজির সমস্যা থাকে তারাই শিশুশ্রমে নিয়োজিত হয়। বিশেষ করে শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কঠোর একটা নজরদারির বিষয় থাকতে হবে।`

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী বলেন, `অভিভাবক যখন গোপনে শিশুদেরকে দিয়ে ফেলে। আর যারা মালিক তারাও যখন গোপনে কাজটা করে ফেলে তখন তৃতীয় পক্ষের খুব কঠিন হয়ে যায় সেটা বের করে নিয়ে আশা।`

শিশুশ্রম প্রতিরোধে এদেশে রয়েছে অনেক আইন। কিন্তু পেটের ক্ষুধার কাছে কি সবসময় সব আইন মেনে চলা সম্ভব? তাই শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে যথাযথ পদক্ষেপ। পাশাপাশি, শিশুশ্রম বন্ধে সবার আগে বাড়াতে হবে জনসচেতনতা।

এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।