আশা জাগিয়েছিলেন সৌম্য


প্রকাশিত: ০৫:০৪ এএম, ০৬ জানুয়ারি ২০১৭

ম্যাচের পর ম্যাচে সুযোগ পাচ্ছিলেন; কিন্তু নিজেকে হারিয়ে খোঁজা সৌম্য সরকার ফর্মই ফিরে পাচ্ছিলেন না। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যর্থ হওয়ার পর শেষ দুই ওয়ানডেতে ছিলেন দলের বাইরে। এরপর আবারও তাকে ফেরানো হলো টি-টোয়েন্টিতে।

কিন্তু সৌম্য রয়ে গেলেন সেই ফর্মহীনতায়। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ক্রিজে নেমেই আউট হয়ে গেলেন গোল্ডেন ডাক মেরে। তারপরও টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপর থেকে আস্থা হারাতে পারলো না। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও তাই সুযোগ পেয়ে গেলেন সৌম্য।

অবশেষে নিজেকে ফিরে পাওয়ার সেই ইনিংসটি খেলা শুরু করেছিলে এই স্টাইলিস্ট ব্যাটসম্যান। ইশ সোদিকে যেভাবে লবড-আপ করে ছক্কা মারলেন কিংবা ডি গ্র্যান্ডহোমকে যেভাবে লং অন দিয়ে বাউন্ডারির ওপারে আছড়ে ফেললেন, তাতে মনে হচ্ছিল বেশ স্বাচ্ছন্দ্য এক ব্যাটসম্যান খেলে যাচ্ছেন ক্রিজে।

দীর্ঘদিন পর হাত খুলেছিলো বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যানের। ২৫ বলে ৩টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কার মার মেরে তিনি সমালোচকদের বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, ‘আমাকে নিয়ে সমালোচনা করার দিন হয়তো শেষ। এবার আপনাদের কলমের নিবটা লাগিয়ে নিন।’

কিন্তু আর পারলেন কই! দারুণ আশা জাগানোর পর সেই চিরাচরিত ভুল। ট্রেন্ট বোল্টকে তিন বলের মধ্যে দুটি বাউন্ডারি মারার পর একটু রাশ টানা দরকার ছিল তার; কিন্তু রানের লোভ যেন পেয়ে বসেছিল তখন সৌম্যকে। যে কারণে ১১তম ওভারের ৫ম বলটি যে ট্রেন্ট বোল্ট শটপিচ করালেন সে খেয়াল আর ছিল না তার।

সুতরাং, নিজের দুর্বল জায়গাটি থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারলেন না তিনি। শট বলটি কাঁধ বরাবর লাফিয়ে আসলো। বলে চোখ না রেখেই নিজের হেলমেট বরাবর ব্যাটটি চালিয়ে দিলেন। দেখে মনে হলো যেন হুক করতে চাইলেন; কিন্তু শট বলে যা হওয়ার তাই হলো। শর্ট ফাইন লেগে আগেই পরিকল্পনামাফিক কলিন মুনরোকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন উইলিয়ামসন। সৌম্যর ক্যাচটি তালুবন্দী করতে তাই কোনই বেগ পেতে হয়নি কলিন মুনরোকে।

braverdrink

দারুণ আশা জাগিয়েও পারলেন না সৌম্য। ২৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন শট বলে নিজের দুর্বলতা ঢাকতে না পেরে। অথচ, ওই বলটি যে কোনোভাবে ডিফেন্স করে দিলেই তিনি ওই সময়ের জন্য বেঁচে যেতে পারতেন।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।