বাংলাদেশ-ইরান সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম শিগগিরই
ইরানের সাথে নতুন মেয়াদে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম শিগগিরই চালু করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজি। সোমবার সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সাথে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইরানি রাষ্ট্রদূত এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ঘনিষ্ঠ মুসলিম ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে ইরান-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কুটনৈতিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ যেমন ইরানকে সহযোগিতা করছে তেমনি ইরানও বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছে। পারস্পরিক এ সহযোগিতার ক্ষেত্র ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সাংস্কৃতিক চুক্তি রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তা নতুন মেয়াদে করার জন্য একটি প্রস্তাব ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইরানে পাঠানো হয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
ইরানি রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজি বলেন, ইরান বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পরস্পরের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে পারে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান। এদেশের সংস্কৃতিকে ইরানের মানুষের কাছে এবং ইরানের সংস্কৃতিকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দু’দেশ সচেষ্ট রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় নতুন মেয়াদে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চালুর ব্যাপারে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো প্রস্তাব অচিরেই কার্যকর করতে ইরান সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সৌজন্য সাক্ষাতে ইরানি রাষ্ট্রদূত এ বছরের মে মাসে ইরানে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
আরএস/আরআই