বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন নীতিগত অনুমোদন
বিভাগীয় পর্যায়ে অফিস করার প্রভিশন রেখে ‘বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৫’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, একটি অধ্যাদেশ আইনে রূপ দেওয়া হয়েছে। আর অধ্যাদেশটি ইংরেজিতে ছিল, সেটি এখন বাংলায় করা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সমবায় অধিদফতরের নিবন্ধন ছাড়াও বিআরডিবির অনুমোদন নিয়ে কিছু অনানুষ্ঠানিক গ্রুপ কাজ করছে। বিআরডিবি অধ্যাদেশে অনানুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনি কাঠামোতে নিয়ে আসা হচ্ছে।
বিআরডিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আগে ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। এখন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী। একজনের অনুপস্থিতিতে অন্যজন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
পরিচালনা বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। সচিব বলেন, কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ও বগুড়ার উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালকের পাশাপাশি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালককে সদস্য করা হবে বোর্ডের।পাশাপাশি আইনে বোর্ডের নির্বাচিত সদস্যদের মেয়াদ এক বছর থেকে বাড়িয়ে তিন বছর করা হয়েছে।
প্রশাসনিক কাঠামোতে বিআরডিবির কেন্দ্রীয় বা জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অফিস করার প্রভিশন রাখা ছিল। এখন বিভাগীয় পর্যায়ে অফিস করার প্রভিশন রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় মূলত এই সিদ্ধান্ত, জানান সচিব।
একই সঙ্গে সোমবারের সভায় দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন আইন-২০১৫ চুড়ান্ত করেছে সরকার।
এসএ/বিএ/আরআই