কখনো মানবাধিকারকর্মী, কখনো আবার সাংবাদিক
কখনো মানবাধিকারকর্মী, কখনো আবার সাংবাদিক। এভাবেই নানা পরিচয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালত থেকে চাঁদা দাবি করতো মিন্নুর রুহমা পলাশ (৪০)। কিন্তু, দীর্ঘদিনের এই ব্যবসার শেষ রক্ষা হলো না তার।
সোমবার টাঙ্গাইল ভূমি অফিসে চাঁদা আদায় করতে এসে পুলিশের কাছে আটক হয়েছেন তিনি।
টাঙ্গাইল জেলা ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, কয়েকদিন আগে মিন্নুর রুহমা পলাশ তার কাছে মানববন্ধন করার জন্য চাঁদা দাবি করে। এসময় তিনি সাধারণ সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা মানবাধিকারকর্মী ও অপরাধ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আমাকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখান।
এরপর সোমবার দুপুরে পলাশ আবারও ওই অফিসে চাঁদা নিতে গেলে আসলাম মোল্লার সন্দেহ হয়। পরে তিনি বিষয়টি টাঙ্গাইলের সংবাদকর্মীদের জানান। এঘটনার পর টাঙ্গাইলের কিছু সাংবাদিক ভূমি অফিসে হাজির হয়ে তারা পলাশের পরিচয় জানতে চান। এসময় পলাশ তার কাছে থাকা আইডি কার্ড তাদের দেখান। আইডি কার্ডে “ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশন ও অনলাইন বাংলানিউজ:এনএইচসিআরএফ২৪.কম লেখা রয়েছে। এছাড়াও আইডি কার্ডে মানবাধিকারকর্মী ও অপরাধ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহকারী এর সভাপতি পদ উল্লেখ করা রয়েছে। কিন্তু, তার ভিজিটিং কার্ডে সাধারণ সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা মানবাধিকারকর্মী ও অপরাধ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহকারী দেওয়া রয়েছে। পরে সাংবাদিকরা বিষয়টি টাঙ্গাইল মডেল থানায় জানালে পুলিশ পলাশকে আটক করে নিয়ে যায়। পলাশ মাদকাসক্ত বলে পুলিশ ধারণা করছে।
পলাশ জানায়, মাদকের অর্থ যোগাতেই তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন।
এমএএস/পিআর