মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সর্বোচ্চ সমর্থন পাবেন মাশরাফিরা


প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৭

পারফরম্যান্স ও অর্জন যেমনই হোক না কেন, প্রিয় জাতীয় দলের প্রতি বাঙালির ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন একচুলও কমে না। কমেওনি। হোক তা দেশে কিংবা বিদেশে, প্রিয় জাতীয় দল যেখানেই খেলতে যায় সেখানেই ঢল নামে উৎসাহী বাঙালির।

Babuনিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইতে আজ বিকেলে সেই চিরন্তন সত্যের দেখা মিললো আবারো। নিউজিল্যান্ডে এসে হারের বৃত্তে আটকে টাইগাররা। তাতে কি?
 
মাশরাফি বাহিনীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করতে আর উষ্ণ ভালোবাসার পরশে মাখতে আজ বিকেলে টিম হোটেল ট্রিনিটি হোয়ার্ফে ছুটে এসেছিলেন স্থানীয় প্রবাসী বাঙালিরা। শুধু প্রিয় জাতীয় দলের প্রতি ভালোবাসা জানিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি প্রবাসীরা। রাতে পুরো দলকে ডিনারের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল।

জানা গেছে, পুরো দল ওই ডিনারে অংশ না নিলেও স্কোয়াডের আটজন গিয়ে স্বদেশিদের সাথে নৈশভোজ সেরে আসেন। সাভারের ছেলে তানভির রেজা শিমুল জানান, আগামী ৬ ও ৮ জানুয়ারি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে যে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, তাতে অন্তত তিন থেকে সাড়ে তিনশ প্রবাসী বাঙালি মাঠে উপস্থিত থাকবেন প্রিয় জাতীয় দলকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানাতে। মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মামুদউল্লাহ, সাব্বির ও মোস্তাফিজদের অনুপ্রাণিত করতে।  

newzeland

এই তো অল্প কিছুদিন আগেও মাউন্ট মঙ্গানিয়ায় থাকতেন, এখন অকল্যান্ডে থাকেন তানভির শিমুল। এ ব্যবসায়ী প্রায় ১২/১৩ বছর ধরে নিউজিল্যান্ড রয়েছেন। তার একটাই কথা, ‘আমরা যারা দেশের বাইরে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে প্রবাসে থাকি, তারাও প্রিয় জাতীয় দলকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসী। তাই নিউজিল্যান্ডে জাতীয় দলের খেলা হলেই ছুটে যাই মাঠে। মেতে উঠি ক্রিকেট আনন্দে।’

braverdrink

এদিকে এর আগে ক্রাইস্টচার্চ-নেলসন ও নেপিয়ারে তিনটি ওয়ানডে আর একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও ওই তিন ভেন্যুতে সে অর্থে প্রবাসী বাঙালির উপস্থিতি একটু কমই ছিল। কারণ ওই অঞ্চলে প্রবাসী বাঙালি এমনিই কম থাকেন।

তবে মাউন্ট মঙ্গানুই এবং ওয়েলিংটনে বাঙালির নিবাস বেশি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এ শহরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে টাইগাররা মাঠে নামতে পারবেন বাড়তি ভক্ত-সমর্থনপুষ্ট হয়ে।

এআরবি/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।